![Atiur rahman](http://archive.arthosuchak.com/wp-content/uploads/2014/03/Atiur-rahman.jpg)
ব্যাংকগুলো এখনো পুরোপুরি কৃষিবান্ধব হয়ে ওঠেনি। এ কারণে তারা কৃষকদের ঋণ দিতে অনীহা প্রকাশ করছে। তাই ব্যাংকগুলো নিয়ম করে ঋণ দিতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
শনিবার বিকেলে রাজধনীর ব্র্যাক সেন্টারে ইনে ও বর্গা চাষিদের ঋণ দেওয়ার ফলাফল শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এ কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর বলেন, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা এখনো একেবারে সাধু হয়ে যায়নি। এখনো তারা কৃষকদের ঋণ দিতে চায় না। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কৃষকদের ঋণ দিতে বাধ্য করেছে। যেসব ব্যাংক পুরোপুরি ঋণ দিচ্ছে না তাদের রিজার্ভ থেকে সমপরিমাণ টাকা কেটে রাখা হচ্ছে। এ সময় গত বছর সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ভবিষ্যতে ব্যাংকগুলোকে কৃষকদের জন্য ঋণ বিতরণ আরও বাড়াতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ড. মাহবুব হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের অধ্যাপক ড. অ্যাটোনো রাব্বানি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর জহির উদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাকের ড. মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, আবু আহসান মিশু প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃর্ষক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ব্যাংকগুলো তাদের আর্থিক সহযোগিতা করছে না। ফলে কৃষকরা এখনো পুরোপুরি ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে না।
জহির উদ্দিন আহমেদ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে কৃষকদের ওপর এনজিও’র শোষণের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখন এনজিও মানেই একটা আতঙ্ক। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক যৌথভাবে যে বর্গা চাষি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে তা যেন কৃষকদের জন্য আতঙ্কের বিষয় হয়ে না দাঁড়ায়।
জহির উদ্দিনের এ বক্তব্য ধরে গভর্নর বলেন, বিদেশি ব্যাংকগুলোকেও কৃষিখাতে ঋণ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে বিদেশি ব্যাংকগুলোর শাখা গ্রামে না থাকায় তারা সরাসরি কৃষককে ঋণ দিতে পারছে না। তবে বিভিন্ন এনজিও এর মাধ্যমে তাদেরকেও ঋণ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এনজিও’র মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার কারণে কৃষকরা বুঝতে পারছে না যে ব্যাংকই তদের ঋণ দিচ্ছে। তাছাড়া ব্যাংকিং খাত তো একেবারে সাধু হয়ে যায়নি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গভর্নর বলেন, আমি প্রতিমাসে অন্তত একবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক কৃষকদের সাথে মোবাইলের মধ্যমে যোগাযোগ করি। তাদের কোনো অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাই। যদি কোনো কৃষক ব্যাংক ঋণ চেয়ে না পায় কিংবা কোনো প্রকারের হয়রানির শিকার হন তাহলে ১৬২২৬ নম্বরে অভিযোগ জানালে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক এর যৌথ উদ্যোগে বর্গা চাষিদের অল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে। এর আওতায় প্রায় ৭ লাখ বর্গা চাষিকে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে।
এসএই/এএস