
১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভোলার সদর উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে ৮৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টি কেন্দ্রকে অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নৌ-বাহিনী, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। অনুমতিবিহীন যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অর্ধ-শতাধিক মটরসাইকেল আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ও সহকারী পুলশ সুপার রমানন্দ সরকার জানান, সংখ্যালঘু এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, তাদের নেতাকর্মীদের মামলার অজুহাতে পুলিশ হয়রানি করছে। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬শ ৫১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ৪শ ৬২ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ১শ ৮৯ জন। ভোটকেন্দ্র ৮৩টি।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন, জেলা বিএনপি সধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া, জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মো. বিল্লাহ খান, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস, বিএনপি দলীয় অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমীন, শ্রমিক নেতা মোকাম্মেল হক ।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা মহিলা বিএনপি সভপাতি অ্যাডভোকেট সাজেদা আক্তার, আওয়ামী লীগের দলীয় সেতারা বেগম।
এ উপজেলার নির্বাচনকে জেলার রাজনীতিতে মর্যাদার লড়াই মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে উত্তেজনাও বিরাজ করছে।
কেএফ