
৩৫ দিন বন্ধ থাকার পর রোববার সকাল ৯টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে। আাগমিকাল সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষসহ সকল বিভাগের ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে শনিবার রাজশাহী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সন্ধ্যাকোর্স বাতিলের দাবিতে আগামি ১০ ও ১১ মার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয় আগামি ১০ মার্চ কালো ব্যাচ ধারণ করা হবে। আর ১১ মার্চ শহীদ ড. শামসুজ্জোহার স্মরণে শোকর্যালি, পূষ্পস্তবক অর্পণ এবং শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণ বিরোধী শপফ বাক্য পাঠ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, রোববার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে যথারীতি ক্লাশ শুরু হবে। এরপর নিজ নিজ বিভাগ তাদের সুবিধামতো সময়ে পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।
তিনি আরও জানান, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিটিং-মিছিল, সভা-সমাবেশ, মাইকিং, ব্যানার, পোস্টারিং, প্রচারপত্র প্রচার ও বিতরণ নিষিদ্ধ থাকবে। ছাত্র হলগুলোতে বৈধ ছাত্র ছাড়া অন্য কেউ অবস্থান করতে পারবে না। তবে ছাত্রী হলে সংশ্লিষ্ট হলের অনাবাসিক ছাত্রীরা হল কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে অবস্থান করতে পারবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলাগুলোও আইন অনুযায়ী চলছে বলে তিনি জানান। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও অবস্থানকালীন সময়ে সব শিক্ষার্থীকে পরিচয়পত্র সাথে রাখার জন্য বলা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যাকালীন মাস্টার্স কোর্স বন্ধের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ। এতে সাংবাদিকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। হামলার পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে ভাংচুর চালায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এরপর ওইদিনই জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই বৈঠকে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও গঠন করা হয়।
কেএফ