
দেশের রপ্তানিখাত নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। রোববার বিকেলে বিজিএমইএর নূরুল কাদের মিলনায়তনে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচি, রিয়াজ বিন মাহমুদ, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলেই অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের মতো নাম করা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এসে ছবক দিচ্ছে। তবে এই কথা বিদেশিরা না বুঝলে আমরা যাব কোথায়। প্রায় ৫০০ একর জমি নিয়ে কারখানা স্থানান্তর করার কাজ হচ্ছে। তবে এটা করতে গেলে সময় দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, দেশের রপ্তানি খাত নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। একটার পর একটা কারখানা বন্ধ হলে অস্থিরতা তৈরি হবে। এই জন্য তিনি সবাইকে নিয়ে কমিটি করে সমস্যাগুলোর সমাধান করার কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পোশাক কারখানার অগ্নি, বিদ্যুৎ ও ভবন নিরাপত্তা সামগ্রি আমদানির জন্য শুল্কমুক্ত করানোর জন্য কারখানা মালিকদের প্রতিনিধি হয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলে জানান তিনি।
পোশাক শিল্পের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে ‘পোশাক শিল্প বিভাগ’ করার জন্য দাবি জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম। সেই সঙ্গে কারখানা স্থানান্তরের জন্য প্রায় দেড় থেকে ২ বছর সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আতিকুল ইসলাম বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পকে স্থানান্তরের জন্য দেড় থেকে ২ বছরের সময় লাগবে বলে জানান। আর এই পল্লী স্থানান্তরের জন্য অন্তত ৮০০ কোটি টাকা লাগবে বলে জানান তিনি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) নির্দেশ দেওয়ার জন্য তিনি মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। ঋণ দেওয়ার জন্য চিনের কোম্পানি প্রস্তুত আছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আজ পোশাক কারখানা কম্প্লায়েন্স করার জন্য কারখানাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে এসএম মান্নান কচি বলেন, ক্রেতারা শেয়ার্ড বিল্ডিংয়ে কাজ না দেওয়ায় বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হবে। আর এর জন্য তিনি পোশাক পল্লীর দাবি জানান।
মালিকরা গ্যাস বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো সমস্যা সমাধানের জন্য মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
এসইউএম