দৈনিক নয়, সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিতে হবে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারিকে

stock-graph

stock-graphঅবশেষে কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নমনীয় হয়েছে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বা সাবসিডিয়ারির বিনিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্টিং ইস্যুতে। বিনিয়োগের তথ্য দৈনিক ভিত্তিতে জানানোর নির্দেশনা বাতিল করে নতুন নির্দেশনা জারী করেছে। নতুন নির্দেশনা অনুসারে সাবসিডিয়ারিগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকে দৈনিকের পরিবর্তে সাপ্তাহিকভিত্তিতে রিপোর্ট জমা দিলেই চলবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা জারী করেছে। আর এদিনই সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে। নির্দেশনা অনুসারে এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার ব্যাংকের সাবসিডিয়ারিগুলোকে পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে।

রোববার পুঁজিবাজারে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় বৈঠকের আলোচনার প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বৈঠকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দৈনিকভিত্তিতে রিপোর্টংয়ের বিষয়ে আপত্তি জানায়। বিএসইসির মতে, প্রতিদিন সাবসিডিয়ারিগুলোর পক্ষে বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানানো কঠিন। এ নির্দেশনা বহাল থাকলে পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। তাই এ রিপোর্টিং পাক্ষিকভিত্তিতে হওয়া উচিত। তবে সপ্তাহের চেয়ে কম সময়ের ব্যবধানে কোনোভাবেই নয়।

উল্লেখ, গত ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক সব তফসিলি ব্যাংককে প্রতিদিন পুঁজিবাজারে তাদের সাবসিডিয়ারির বিনিয়োগের তথ্য জানানোর নির্দেশ দেয়। এতে ব্যাংক ভিত্তিক ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বিনিয়োগে অনেক বেশি সতর্ক হয়ে পড়ে। বর্তমানে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি হিসেবে ব্যবসারত মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারহাউজগুলোই বাজারের প্রধান চালিকা শক্তি। তাই এসব প্রতিষ্ঠান সতর্ক হয়ে যাওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। শুরু হয় প্রায় টানা দরপতন।