
জুতা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জিয়াউর রহমান হলে জুতা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হলে মহড়া দেয়। এতে প্রায় ১০জনের মত আহত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সালমান প্রধান শাওনের কর্মী ও হলের সহ-সভাপতি সাদ্দাম এবং ছাত্রলীগ কর্মী হাসু হলের সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্সের কর্মী সোহাগকে মারধর করে। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তাক এবং শারমিন সুলতানা লিলি উপস্থিতি ছিলেন।
তারা বিষয়টি মিমাংসা করতে চাইলেও ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের সামনেই মারামারি করতে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরে মধুর ক্যান্টিনের সামনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জিয়া হল ছাত্রলীগের কর্মীদের হুমকি ধমকি দেন। ওমর শরীফ উপস্থিত সবার সামনেই সাদ্দামকে চড়-থাপ্পড় মারেন।
পরে হল থেকে দুই গ্রুপের কর্মী মধুর ক্যান্টিনে জড়ো হলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা এসব কাজ করে তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এরা ছাত্রদল-শিবিরের এজেন্ড হোয়ে কাজ করছে বলেও তিনি উল্লখে করেন।
হল সভাপতি আবু সালমান প্রধান শাওন বলেন, সামান্য ঘটনা নিয়ে জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাকি/