
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক জোট (বিমসটেক)’র শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। সোমবার সকাল ৮টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
সফরের প্রথম দিনই মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠক করবেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেকটরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এবং দুপুরে সরকার প্রধানদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
এই সম্মেলনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলো সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। প্রতিবেশী দেশ হলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপোড়েন রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যও বছরে মাত্র ১০ কোটি ডলারের।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে জাতিগত দাঙ্গার মধ্যে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা হাজারের কোটায় থাকলেও অবৈধভাবে আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা এদেশে রয়েছে বলে বিভিন্ন পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে। দুই দিনের এই সফর শেষে মঙ্গলবার রাতে দেশের পথে ফিরতি যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে গঠিত বিমসটেক বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানের এই জোটের এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি, পরিবহন ও যোগাযোগ, পর্যটন, কৃষি, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, আন্তঃযোগাযোগ, সন্ত্রাস ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করার কথা।
এসএসআর