
অমর একুশের গ্রন্থমেলার সুতিকাগার বলা হয় বাংলা একাডেমিকে। প্রতিবছর মেলার ২১ শের এই দিনে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে পা ফেলার জায়গা থাকত না। সেখানে আজ শুক্রবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন অনেকটাই ফাঁকা। অল্প কিছু লোক বাংলা একাডেমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তবে এ নিয়ে লেখক পাঠক ও দর্শনার্থীদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলে মানুষের কি ভালোবাসা কমে গেছে বাংলা একাডেমির জন্য। কেউ বলেছে মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হওয়ায় এবার বাংলা একাডেমি খোলা মেলা হয়েছে কোন ভীড় নেই।
বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম বলেন, বুঝি না আজ বাংলা একাডেমিতে এত লোক কম কেন। তাহলে মানুষের দেশাত্মবোধ কমে গেছে। প্রতিবার বাংলা একাডেমিতে অনেত ভীড় হয়। এবার এখানে লোক কম।
তিনি বলেন, মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হলেও বাংলা একাডেমি সুতিকাগার এখানে না আসলেতো শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া পূর্ণ হয় না।
বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক লুৎফুর রহমান লিটন বলেন, আজ আমি অবাক বাংলা একাডেমিতে আজ এত অল্প লোক। মেলা দু জায়গায় হলেও এত কম হতে পারে না।
তবে বিশিষ্ট লেখক কবি দিলদার হোসেন মতে মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত সম্প্রসারিত হওয়ায় এবার মেলা খোলামেলা হয়েছে।
কেউ কেউ বলেন, মেলা সম্প্রসারিত হয়ে সোহরাওয়ার্দীতে হওয়ায় বাংলা একাডেমিতে লোকজন কম হয়েছে। সবাই সোহরাওয়ার্দী মেলায় চলে গেছে কারণ সেখানে পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকা সব লেখকদের বই সেখানে পাওয়া যায়।
তবে অনেকর ধারণা বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকবে দর্শনার্থী। তাছাড়া অনেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে চলে গেছেন বিকালে মেলায় আসবে।
যাই হোক দুপুরে পর বাংলা একাডেমি তার প্রাণ ফিরে পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা ।
এসএস