
লোকসানে থেকেও অস্বাভাবিকভাবে শেয়ার দর বাড়ছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশেনের (বিএসসি)। বিবিধ খাতের কোম্পানিটির পুঞ্জিভুত লোকসান রয়েছে ১৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া বর্তমান মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও রয়েছে ২৮৫ দশমিক ৭৩। যার কারণে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি পূর্ণ।
গত এগারো কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১৮ শতাংশ। কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সাথে দর বাড়া অসঙ্গতি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারে বিএসসির শেয়ার দর বেড়েছে ৩৭ টাকা ৭৫ পয়সা বা ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এদিন কোম্পনিটি টপটেন গেইনার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। তাছাতা বুধবার ও বৃহস্পতিবার লেনদেনের এক পর্যায়ে শেয়ারের বিক্রেতা উধাও হয়ে পড়ে।
কোম্পানির ১ লাখ ১৪ হাজার ৮২০ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৭০ বার। যার বাজার মূল্য ছিল ৪১৮ কোটি ৪৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
এ প্রসঙ্গে ভেন্টেজ সিকিউরিটিজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসহাক মিয়া অর্থসূচককে বলেন, কোম্পানিটি লোকসানে থাকার পরেও প্রায় প্রতিদিনই শেয়ার দর বাড়ছে। এটা স্বাভাবিক বাজারের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। কারণ যেসব কোম্পানি নিয়মিত লভ্যাংশ দিচ্ছে, মুনাফা করছে তাদের মুনাফা বাড়ছে না।
কোম্পানির প্রাপ্ত তথ্যমতে, সর্বশেষ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১২ টাকা যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৫ টাকা লোকসান।
কোম্পানিটি ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন প্রকার লভ্যাংশ দেয় নি। এছাড়া ২০১০ সাল থেকে নামমাত্র ২০১২ পর্যন্ত ক্যাটাগরি ধরে রাখতে ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৭৭ সালে। মোট শেয়ার রয়েছে ৮২ লাখ ৭৪ হাজার। এর মধ্যে সরকারের হাতে রয়েছে ২১ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকরীদের ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার।
এমআরবি/