
আগামিকাল বুধবার অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ মঙ্গলবার সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালেট পেপার, বাক্স, কালিসহ নির্বাচন সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
এই উপজেলায় প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন প্রার্থী আর সমর্থকদের অপেক্ষার পালা। আজ রাতের পরই শুরু হবে ভোটের উৎসব। এ উপজেলায় তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন প্রার্থী। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম (দোয়াত কলম) ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলার বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সামাদ (আনারস)।
এ দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা। তবে মনোনয়ন দ্বন্দ্বে স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ প্রচার প্রচারণায় নিষ্ত্রিয় থাকায় কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম।
এছাড়া উপজেলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কালাম (টিউবওয়েল) ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (বই) নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মহিলা আওয়ামী লীগের জোসনা খাতুন (ফুটবল) ও জাতীয় পার্টির বানেছা বেগম (কলস) নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, মোহনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন করে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে মোহনপুরের ১ লাখ ৫১৫ হাজার ৫৩৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৬ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ভোটার ৯৯ হাজার ৭৩৫ জন। উপজেলার মোট ৪২টি কেন্দ্রে একযোগে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নিরাপত্তা দিতে নির্বাচনী এলাকায় মাঠে নেমেছে সোনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে রবিবার রাতে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় অবস্থান নেয় সেনা ও বিজিবি সদস্যরা। তবে সেনা সদস্যরা সোমবার থেকে নির্বাচনী এলাকায় টহল শুরু করলেও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা আগের দিন রবিবার সন্ধ্যা থেকেই টহল দেয়।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নির্বাচন সম্পন্ন করতে এরইমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সহিংসতা এড়াতে রোববার রাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সেনা বাহিনী সোমবার সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি দেখভালের জন্য গত ৩ ফেরুয়ারি থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আগামি ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া সোমবার সকাল থেকে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে আরও একটি ভ্রাম্যমাণ দল কাজ শুরু করেছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, জাকিরুল ইসলাম বলেন, মোহনপুরের ৪২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ১০টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে বলে জানান তিনি।
কেএফ