মাছ চাষে কোটিপতি

Jhenidah-Photo-Fish

Jhenidah-Photo-Fishঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তৈলকূপ গ্রামের আব্দুল করিম কাজলী বিলের প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ করে দিনমজুর থেকে এখন কোটিপতি। একদিন যে পরের ক্ষেতে কাজ করত, এখন তার মৎস্য খামারেই ২০-২২ জন শ্রমিক কাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেকার যুবক আব্দুল করিম ১২ বছর আগে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরর থেকে প্রশিক্ষণ নেন। পরে যুব উন্নয়নের সামান্য ঋণের টাকা দিয়ে ঝিনাইদহের নলডাঙ্গা ইউনিয়নের খুরশী গ্রামে কাজলী বিলের প্লাবন ভূমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি।

আব্দুল করিম জানান, দিনমজুরের কাজ করার সময় তিনি চিন্তা করেন কিভাবে নিজের পায়ে দাঁড়ানো যায়। ঝিনাইদহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রথম দিকে কাজলী বিলের ১ একর প্লাবন ভূমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি নিজস্ব ৫ একর জলাশয়ে মাছ চাষ করছেন। আর এই মাছ চাষ করেই দিনমজুর থেকে কোটিপতি হয়ে গেছেন তিনি। প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার রুই, কাতল আর মৃগেল জাতীয় মাছ বিক্রি করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, আব্দুল করিম শুধু মাছ চাষই নয়, পাশাপাশি বনায়ন ও নার্সারি করছেন। এখানে রয়েছে ফলদ ও বনজসহ বিভিন্ন জাতের গাছ। আর এসব পরিচর্যা করছেন ২০ জন শ্রমিক।

প্রতিবেশী আজমল হোসেন জানান, আব্দুল করিম আগে দিনমজুরের কাজ করতেন। পরে তিনি এবং তার স্ত্রী আফরোজা খাতুন দু’জনেই যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ নেন। করিম মাছ চাষ আর তার স্ত্রী বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করে। তারা দু’জনে মিলেই পরিশ্রম করে ফিরিয়ে এনেছেন সংসারে সচ্ছলতা।

ঝিনাইদহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক জানান, অল্প শিক্ষিতি যুবক আব্দুল করিম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যা করেছেন, তা শুধু ঝিনাইদহে নয় সারা দেশের মডেল হয়ে থাকবে। মাছ চাষ করে দিনমজুর থেকে কোটিপতি করিম এখন এলাকার মডেল। তাকে দেখে অনেকেইে আগ্রহী হচ্ছে মাছচাষে।

কেএফ