নগদ টাকার বন্যা ব্যাংকে, তবুও বাড়ছে স্প্রেড

টাকা

Takaউদ্বৃত্ত তারল্যে সয়লাব ব্যাংকিং খাত।রাজনৈতিক অস্থিরতায়ন বিনিয়োগ-বাণিজ্যে মন্দা। তাই দীর্ঘদিন ব্যাংকের ঋণ ও আগামে ছিল নিম্নমুখী ধারা। তারপরও বেড়েছে স্প্রেড বা আমানত ও ঋণের সুদ হারের ব্যবধান। গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে স্প্রেড বেড়েছে দশমিক পাঁচ শতাংশ। বাংলাদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বছরের নভেম্বর মাসে ব্যাংকিং খাতে মোট তারল্য ছিল ৯০ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। পরের মাস ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয় ৯৫ হাজার ৫৮০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অথচ তারল্য বা নগদ টাকা বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও সুদ হারের ব্যবধান কমেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে আমানত ও ঋণের সুদ হারের ব্যবধান ৫ শতাংশে বেঁধে রাখার তাগিদ দিলেও গত ডিসেম্বরে ২৩ ব্যাংক তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের ঋণ-আমানতের সুদ হারের ব্যবধান বেড়ে গেছে। গত ডিসেম্বর মাসে স্প্রেড বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত নভেম্বরে ব্যাংকিং খাতে ঋণ-আমানতের সুদ হারের ব্যবধান ছিল ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ডিসেম্বর মাসে তা বেড়ে হয় ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ।

গত ডিসেম্বরে ঋণের গড় সুদ হার ছিল ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।এটি  নভেম্বর মাসে ছিল ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে নভেম্বরে আমানতের সুদ হার ছিল ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে এটি বেড়ে ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশে উন্নীত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বরে ২৩ টি ব্যাংকের স্প্রেড ছিল ৫ শতাংশের বেশি। এগুলো হচ্ছে-রুপালি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এন এ, কমার্সিয়াল ব্যাংক অব সিলন, ওরি ব্যাংক, এইচএসবিসি ব্যাংক,  এবি ব্যাংক, দ্যা সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক,  সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক,  ব্যাংক এশিয়া, যমুনা ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক।