
শাবনূরের আকস্মিক বিয়ে আর মা হওয়ার সংবাদে মিডিয়ায় যতটা হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল মা হওয়ার পর ততটাই যেন থমকে গেছে শাবনূর সংক্রান্ত সব সংবাদ। চলচ্চিত্রের কেউই এখন তার কোনো খবর রাখেন না। শাবনূর এখন স্মৃতির আড়ালে চলে যাওয়ার পথে।
যারা এক সময় শাবনূরকে নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন, শাবনূরের শিডিউল পেলে ধন্য হয়েছেন, তারা এখন ভুলেও তার নামটি উচ্চারণ করেন না। এমনকি যারা শাবনূরকে বাদ দিয়ে ছবি নির্মাণের কথা স্বপ্নেও ভাবতেন না, সেই তাদের ছবিতেও এখন অন্য নায়িকা।
চাহিদা কমে গেলে একজন তারকা শিল্পীর অবস্থান কতটা যে নড়বড়ে হতে পারে শাবনূর তার জ্বলন্ত উদাহরণ। গোপন বিয়ের ঘোষণাটা দেওয়ার আগ পর্যন্ত শাবনূরকে নিয়ে কেউ কেউ ভেবেছেন। কেউ কেউ তাকে পরিচালকও বানাতে চেয়েছেন। কেউ ‘শাবনূর আপা জিন্দাবাদ’ নামে ছবিও নির্মাণ করতে চেয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ বিয়ে আর মা হওয়ার সংবাদে তারাও ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গেছেন।
মা হওয়ার আগে ও পরে শাবনূরের স্বামী অনিক মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এখন তিনিও নিজেকে আড়াল করছেন। মুঠোফোনে তার সাড়া মেলে না। পিতা হওয়ার মুহূর্তে অনিকের দেশে থাকার বিষয়টিও ছিল রহস্যজনক। কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমার দীর্ঘ সময়ের সফল নায়িকা শাবনূরের এভাবে হারিয়ে যাওয়াটা অনেকের কাছে কষ্টকর বলে মনে হচ্ছে।
বিয়ে করা এবং মা হওয়া যদি দোষের হয়ে থাকে তাহলে এ দোষে অনেকেই দোষী হতে পারেন। শাবানা-ববিতা থেকে শুরু করে চম্পা-দিতি-মৌসুমীরা বিয়ে করে মা হওয়ার পরও দর্শকদের ভালবাসা এবং নির্মাতাদের আস্থা নিয়ে কাজ করে গেছেন। কিন্তু শাবনূরের ক্ষেত্রেই ঘটলো উল্টো ঘটনা।
শাবনূর এসব বুঝতে পারেন বলেই নিজেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। মা হওয়ার সংবাদটি ছোট বোন ঝুমুর আর মায়ের দ্বিতীয় স্বামী শাজাহান চৌধুরীকে দিয়ে প্রচার করেছেন। কাজ না থাকার কারণে দীর্ঘদিন থেকেই বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। মাঝে-মধ্যে দেশে আসতেন। কিন্তু এখন সে সম্ভাবনাও কম। কারণ তার পুরো পরিবার এখন অস্ট্রেলিয়ায়। মা হওয়ার সুবাদে শাবনূরও এখন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। দেশে তার কোনো কাজ নেই। শ্বশুরবাড়িতে উঠবেন কবে এটাও সবার অজানা। এ বিষয়ে জানার জন্য শাবনূরের স্বামী অনিকের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।
কেএফ