
যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে স্বপরিবারে হত্যা করেছে তারাই শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে- এমন অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মোহাম্মদ সেলিম রেজা রচিত ‘২১ আগস্ট ট্রাজেডি রক্তাক্ত বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, “পৃথিবীর ইতিহাসে অত্যন্ত জঘন্য এই হত্যাচেষ্টার কোনো নজির নেই। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং যে অপশক্তি ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করেছে তারাই এর সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি”।
বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, “প্রতিহিংসামূলকভাবে জাতীয় চার নেতাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল সেই একইভাবে দেশকে গভীর সংকটে নিমজ্জিত করার জন্য এই জঘন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল”।
আমু বলেন, “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে ওই একই ধরনের গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জেল থেকে মুক্ত করা”।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দা চরমে তখন বাংলাদেশ গরিব হয়েও মাথা উঠিয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা শুধু শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এক কথায় প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত উন্নয়নের ছাপ পড়েছে সমগ্র বাংলাদেশে”।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, “আজকে যারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়েছে তারাই বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন বানচালের নামে যারা সমগ্র দেশে গণহত্যা চালিয়েছে তাদের দ্বারা দেশ ও মানুষের কোনো উন্নয়ন হতে পারেনা।
উপজেলা নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে এমন মন্তব্য করে আমু বলেন, “নির্বিচারে মানুষ হত্যা করার কারণে বাংলাদেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে। তারা বুঝিয়ে দেবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তোমাদের কোনো স্থান নেই।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ প্রমুখ।
এসএসআর