
গত ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর শিবপুর থানা হেফাজতে মহসিন মিয়া নামে এক আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তিন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহসিন শিবপুর উপজেলার বাড়ৈগাও গ্রামের সুলতান উদ্দিনের ছেলে।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ও কনস্টেবল হানিফ।
সিদ্দিকুর রহমান নামে এক সহকারী আইনজীবী সোমবার দুপুরে নরসিংদীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত নরসিংদীর পুলিশ সুপারকে মামলাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, মহসিনকে ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় শিবপুর থানা পুলিশ সন্দেহজনকভাবে একটি ডাকাতি মামলায় আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় তার ওপর শারিরীক নির্যাতন চালায় পুলিশ। নির্যাতনের ফলে ৩ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ এ হত্যাকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চালায়। সকলের মাঝে প্রশ্ন জাগে হ্যান্ডকাফ পড়া অবস্থায় মহসিন কীভাবে আত্মহত্যা করলো?
একইদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা বেগমের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুন্নাহার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। এ সময় মনিরা বেগম নিহতের গলায় ফাঁসির কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি বলে সাংবাদিকদের জানান। পরে পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
কেএফ