
কয়েকদিন ধরে প্রবল শীতের কবলে কাশ্মীর-সহ গোটা উত্তর ভারত। নতুন করে তীব্র তুষারপাত ঘটলো হিমাচল প্রদেশের পার্বত্য এলাকাগুলিতে, কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতেরও সাক্ষী থাকলেন হিমাচলবাসী। শুক্রবারেও এ এলাকায় চলছিল তীব্র তুষারপাত্।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয় এই প্রচণ্ড তুষার পাত। এতে হিমাচল এলাকায় ৫০ টিরও বেশি রাস্তায় জমে গেছে তুষার। বন্ধ হয়ে গেছে যাতায়াতসহ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ফলে হিমাচলবাসীকে কাটাতে হচ্ছে অন্ধকারে। খবর দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দিন হিমাচল প্রদেশের আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। সঙ্গে কনকনে হাওয়া। রোট্যাঙ্ক, কুনজুম এবং বারালাচের প্রায় ১০ হাজার ফুট এলাকা জুড়ে তুষার পড়েছে ১০০ সেমি। সিমলা এবং মানালিতে বরফ পড়েছে যথাক্রমে ৭৫ সেন্টিমিটার করে। লাহুল উপত্যকায় বরফ পড়েছে ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার। এছাড়া দালহৌসি এলাকায় ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষার জমেছে।
ফলে ঠাণ্ডা সঙ্গে লড়তে হচ্ছে হিমাচলবাসী ও পর্যটকদের । ব্যাপক শৈত্যপ্রবাহে গাড়ি ও ট্রেন চলাচলের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়েতে সকাল থেকেই ট্রাফিক জ্যাম লেগে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে দেরিতে চলে উত্তর -পশ্চিম রেলওয়ের ট্রেনগুলি। এমনকি অনেকগুলো ফ্লাইটও বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় হিমাচলের কয়েকটি এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের নিচে। তা প্রায় মাইনাস ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷
দিল্লী থেকে একজন পর্যটক ভিকরাম আগারওয়াল জানান, তীব্র তুষারপাতের কারণে যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে। ফলে পকেট থেকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। মাত্র ২০ কিলোমিটার যেতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার রুপি। মানালি পৌছতে এটা ছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই বলে জানান তিনি।
কুলুর ডেপুটি কমিশনার রাকেশ কানওয়ার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র তুষারপাতে লোকজন ঘর থেকে না বের হবার জন্য বলা হয়েছে। আর পর্যটকদের বলা হয়েছে তুষারপাতে স্বাদ উপভোগ করতে।
এস রহমান/