
মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ কুয়েতে ১৩ লাখ বিদেশি শ্রমিক কমানোর প্রস্তাবে পার্লামেন্ট ঝড় উঠেছে। দেশটির একজন সংসদ সদস্য পাঁচ বছরে কমিয়ে আনার এ প্রস্তাব দিয়েছেন। বেশ কয়েকজন সদস্য এতে সমর্থন জানিয়েছেন। আর এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।
সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল তামিমি বলেছেন, দেশটির জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার জন্যই বিদেশী শ্রমিক কমিয়ে আনা প্রয়োজন।
এ প্রস্তাব গৃহীত হলে বাংলাদেশের জন্য হবে একটি বড় দু:সংবাদ। দেশটি থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে। গত ছয় বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি পাঁচ হাজার শ্রমিকের চাহদাপত্র পাঠিয়েছে দেশটি। এ থেকে আশা করা হচ্ছিল- কিছুদিনের মধ্যে এ বাজার পুরোপুরি খুলে যেতে পারে। কিন্তু তামিমির ওই প্রস্তাব বাংলাদেশের আশার গুড়ে বালি ছড়ানোর আশংকা ছড়িয়েছে।
তামিমি বলেছেন, কোনোভাএবই বিদেশী শ্রমিকের সংখ্যা দেশটির নাগরিক সংখ্যার চেয়ে বেশি হতে পারে না। কুয়েতের বর্তমান জনসংখ্যা ১২ লাখ। দেশটিতে বিদেশী শ্রমিক রয়েছে ২৪ লাখের বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশীসহ এশিয়ান শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ।
গত বুধবার দেশটির সংসদে বিষয়টি নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে। বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য প্রস্তাবটি সমর্থন করেছেন। সরকারও বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।