
দেশের নির্মাণশিল্পে সিমেন্ট, ইস্পাত ও অটো ব্রিকস তৈরি প্রতিষ্ঠান ‘মেট্রোসেম সিমেন্ট’ লোগো পরিবর্তন করে নতুন মোড়কে যাত্রা শুরু করেছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর রুপসী বাংলা হোটেলের মার্বেল রুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে অ্যাবোডি অব কনসালটেন্টস (পিভিটি) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. শামীম জেড.বসুনিয়া, মেট্রোসেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল্লাহ, ওয়ান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফখরুল আলম, আল-আরাফাহ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ অটো-রিরোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ মাসুদুল আলম মাসুদ, রিহ্যাবের সহ-সভাপতি শওকত আলী ভুঁইয়া মিলনসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. শামীম জেড.বসুনিয়া বলেন, বছরে দেশের কারখানাগুলোতে ৩০ বিলিয়ন টন সিমেন্ট তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। তবে এই সিমেন্ট ১৮ বিলিয়ন টন উৎপাদন করতে পারে বলে জানান তিনি। কয়েক বছরের মধ্যে দেশে সিমেন্টের চাহিদা আরও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
তাতে আধুনিক নগরায়নে মেট্রোসেম সিমেন্ট তাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। দেশের ভালোমানের সিমেন্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মেট্রোসেম সিমেন্টও একটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল্লাহ বলেন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও যুগোপযোগী নতুনত্বে মেট্রোসেম এগিয়ে যাচ্ছে। মেট্রোসেম আবাসন শিল্পে নানা পণ্য উৎপাদন করছে বলে জানান তিনি। সিমেন্টটি দেশের চাহিদা মিটিয়ে শিগগিরই বিদেশে রপ্তানির দিকে এগিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
জানা যায়, মেট্রোসেম গ্রুপ ১৯৮৮ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে। ২০০৩ সাল থেকে তারা সিমেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত প্রক্রিয়া শুরু করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রতিষ্ঠানটির নতুন অগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানান। চিনে বছরে মাথাপিছু সিমেন্ট ব্যবহার হয় প্রায় ১হাজার কেজি। সেখানে বাংলাদেশে হচ্ছে ৯৩ থেকে ৯৪ কেজি। তবে আগামি ৮ বছরে মধ্যে এই ব্যবহার দ্বিগুন হবে বলে মনে করেন বক্তারা।