শুল্ক আহরণে অবদানের জন্য স্বীকৃতি পেলেন ২০ গুণী

  • Emad Buppy
  • January 26, 2014
  • Comments Off on শুল্ক আহরণে অবদানের জন্য স্বীকৃতি পেলেন ২০ গুণী
NBR_Taka

NBR_Taka“যোগাযোগ : অধিকতর সহযোগিতার জন্য তথ্য বিনিময়” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৬ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের ১৭৯টি সদস্য দেশে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শুল্কক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য  এনবিআর ও বিভিন্ন সংগঠনের ২০ জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রোববার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস উপলক্ষে এনবিআর আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত পুরস্কার বিজয়ীদের এই সম্মাননা তুলে দেন।

পুরস্কারপ্রাপ্ত এনবিআরে ১৫ কর্মকর্তা হলেন- রাজস্ব বিভাগের শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান, ঢাকা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার ফৌজিয়া বেগম, কাস্টমস হাউস পানগাঁও কমিশনার মাসুদুল কবীর, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান, এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) জাকির হোসেন, এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব রইছ উদ্দিন খান, খায়রুল কবির মিয়া, মোহাম্মদ হাসমত আলী, জিয়াউর রহমান খান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) সহকারী কমিশনার মাহবুবুর রহমান, ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান, ওয়াজেদ আলী, এনবিআরের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড টিমের সহকারী প্রোগ্রামার গোলাম সরোয়ার,ঢাকা শল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেন।

এছাড়া অন্যান্য খাতের পাঁচ ব্যক্তি হলেন- বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের (বিএফটিআই) প্রোগ্রাম রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি পরিচালক ড. মোস্তফা আবিদ খান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জামান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরামর্শক মনজুর আহমেদ, ঢাকা সিঅ্যান্ডএজি অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসার আবদুর রব ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল হক আলমগীর।

অন্যদিকে মরণোত্তর সম্মাননাও দেওয়া হয়েছে দু’জনকে। তারা হলেন-গাজীপুরের আবদুর রউফ ও দিনাজপুরের চিত্তরঞ্জন রায়। আবদুর রউফকে দেয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯৮৩ সালে ঢাকা এয়ারফ্রেইটের মাধ্যমে একটি চালান শুল্কায়ন ও খালাসের পর্যায়ে শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের একটি তথ্যের আলোকে চালানটি আটক করা হয়। পরীক্ষান্তে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ ঘড়ি। এ চালানটির শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় জড়িত ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট আবদুর রউফকে অযাচিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। পরে আটক অবস্থায় তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়।

পরিদর্শক চিত্তরঞ্জন রায়ের অবদানের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে,পঞ্চগড় কাস্টমস হাউসের গোডাউনে দায়িত্ব পালন শেষে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য তিনি দিনাজপুরে আসেন। ১৯৯২ সালে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে তিনি নিহত হয়। এর কিছুদিন আগে চোরাচালানের একটি বড় চালান আটক করেন তিনি। সেই চোরাচালানচক্রই নির্মমভাবে তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ আছে।

এইউ নয়ন/