
সব অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে চলতি বছরই প্রণয়ন হতে পারে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট (এফআরএ)। বিষয়টি নিয়ে সরকার নতুন করে এগুতে শুরু করেছে। আর এটি সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায়ও আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের চাপে সরকার দ্রুত এফআরএ প্রণয়ন করতে চাচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্টের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে তা নতুন করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সচিবালয়ে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস বাংলাদেশ (আইসিএবি) এবং দ্য ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর আপত্তির মুখে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে ওই খসড়ায়।
উল্লেখ, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এফআরএ’র দাবি জানিয়ে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা প্রতিটি সরকারের আমলেই বিষয়টি সরকারের নজরে এনেছেন। তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গত সরকারের শেষভাগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) চাপে সরকার এফআরএ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। অবশ্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আগ্রহও এর পেছনে ভূমিকা রাখে। ওই বছরের ১৯ আগস্ট মন্ত্রীসভার বৈঠকে আইনের খসড়া অনুমোদিত হয়। জাতীয় সংসদে পাঠানোর আগে চূড়ান্ত যাচাইবাছাইয়ের জন্য এটিকে পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে।
একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান চলমান সংসদে আইনটি পাশ করা হবে। তিনি এও বলেন, চার্টার্ড একাউন্টেন্টসহ অনেকই চায় না আইনটি হোক। কিন্ত স্টক এক্সচেঞ্জের লোকজন বলছে, আইনটি হলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা আসবে। তাই যে কোনো মূল্যে আইনটি করা হবে। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস বাংলাদেশ (আইসিএবি) নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, তাদের সরকারের মেয়াদে এফআরএ সম্ভব নয়। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি গঠন করা হবে।
জানা গেছে, এডিবি পুঁজিবাজার শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্বের অর্থায়নে যে সব শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে এফআরএ’র বিষয়ও রয়েছে। আর এ কারণেই সরকারকে নড়েচড়ে বসতে হচ্ছে। তবে আইসিএবির দাবির মুখে খসড়া আইনে পরিবর্তন এনে অনেক ছাড় দিয়েই আইনটি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।