রুহুল,মান্নানসহ সাবেক সাত মন্ত্রী-এমপির সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক

  • তপু রায়হান
  • January 22, 2014
  • Comments Off on রুহুল,মান্নানসহ সাবেক সাত মন্ত্রী-এমপির সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক
দুদক

দুদকআফম রুহুল হক, আব্দুল মান্নান খানসহ  মহাজোট সরকারে সাবেক তিন মন্ত্রী ও বর্তমান চারজন এমপির সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। এজন্য সাত জন পৃথক অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।

বুধবার দুপুরে দুদকের  জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, মহাজোট সরকারের আমলে ক্ষমতায় থেকে যারা ২০০৮ সালে হলফ নামায় দেওয়া  সম্পদের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে আরও অনেক বেশি সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিন্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আর এ লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে বিগত আমলের মন্ত্রী ও বর্তমান এমপিসহ  সাত জনের সম্পদের অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিযোগ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধানের জন্য মহাজোট সরকারের বিগত আমলের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান এমপি আ ফ ম রুহুল হক, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মান্নান খান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী  ও বর্তমান এমপি মাহাবুবুর রহমান, ঢাকার এমপি আসলামুল হক,  কক্সবাজার ২ আসনের বর্তমান এমপি আব্দুর রহমান বদি, রাজশাহী ৪ আসনের এনামুল হক ও সাতক্ষীরা ২ এর এমপি আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে সাত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুদক।

ওই মন্ত্রী-এমপিদের কর্মকর্তা হিসেবে থাকছেন যথাক্রমে  কমিশনের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম, নাসির উদ্দীন, খায়রুল হুদা, শেখ ফাইয়েজ, আহসান আলী এবং সৈয়দ তাহসিনুল আলম  ও সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুদক সচিব মো. ফয়জুর রহমান জানান  দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া মন্ত্রী-এমপিদের হলফ নামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণী এবং তাদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি অনুসন্ধানে বিব্রত নয় দুদক।

দুদক সচিব বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের হলফ নামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণীর যে তথ্য রয়েছে তা তাদের বৈধ সম্পত্তি। তবে সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের আলোকে যাচাই বাছাই শেষে আমাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান করা হবে। দুদক ইতোমধ্যে বেশ কয়েক জনের হলফ নামা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের অনুসন্ধানের সময় অন্যান্য সাধারণ ব্যক্তিদের মতোই পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে। তাদের ক্ষেত্রে আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাদের সম্পদের সাথে সাথে তাদের স্ত্রী-পুত্র ও কন্যাদের আয়ের উৎস এবং সম্পদেরও অনুসন্ধান করা হবে।

এইউ নয়ন