
দিনাজপুরে নির্বাচনী সহিংসতার ১২৪টি মামলায় আঠারো দলের সাড়ে ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার অভিযোগে জেলার ১১টি উপজেলায় এসব মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৫৬০ জনের নাম উল্লেখ কররা হয়। এর মধ্যে পুলিশ ও যৌথবাহিনী ৩১৮ জনকে আটক করেছে। আটককৃত ৩১৮ জনের মধ্যে ২০০ জন ইতোমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে দিনাজপুর জেলার ১১টি উপজেলার ৫টি সংসদীয় আসনের ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, ভোটদানে বাধা, নির্বাচনের পক্ষের লোকজনদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগে ১২৪টি মামলা দায়ের করা হয়। ১২৪টি মামলার বাদিরা হলেন, ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা ও নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকতারা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১১টি মামলায় ৩৪০০ জনকে, হাকিমপুর উপজেলায় ৬টিতে ১১৫০ জনকে, পার্বতীপুর উপজেলায় ১৮টি মামলায় ২৯০০ জনকে, বিরামপুর উপজেলায় ১৪টি মামলায় ২২৫০ জনকে, ফুলবাড়ী উপজেলায় ১২টি মামলায় ২৮০০ জনকে, চিরিরবন্দর উপজেলায় ১২টি মামলায় ২৬৫০ জনকে, কাহারোল উপজেলায় ১১টি মামলায় ২১৫০ জনকে, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১০টি মামলায় ২১৫০ জনকে, খানসামা উপজেলায় ৯টি মামলায় ১৫০০ জনকে, বীরগঞ্জ উপজেলয় ১২টি মামলায় ২৮০০ জনকে এবং নবাগঞ্জ উপজেলায় ৯টি মামলায় ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ সকল মামলায় আটককৃত ৩১৮ জনের মধ্যে আদালতে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ২০০ জন। ১১৮ জন দিনাজপুর জেলা কারাগারে রয়েছে। অবশিষ্ট আসামিদের আটক করতে পুলিশ জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান।
উল্লেখ্য, ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে জেলার ১১টি উপজেলায় বিভিন্ন সহিংতার ঘটনায় একজন আনছার সদস্যসহ ৭ জন নিহত হয়েছে।
কেএফ