
কিশোরগঞ্জের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানরা নির্বাচনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পাঁচ বছর চরম উপেক্ষিত থাকার পরও তারা আগামি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে অনেকেই দলীয় সমর্থন পেলেই পুরোপুরি মাঠে নেমে পড়বেন বলে জানা গেছে। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অষ্টগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান মারা গিয়েছেন। এছাড়া ১১জন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে বলে জানা গেছে।
গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে একটিতে বিএনপি, দুইটিতে স্বতন্ত্র ও ১১টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছিলেন। এর মধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আর অষ্ট্রগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল হক নসিম মারা গেছেন। এছাড়া সকলেই আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে দলের সিদ্ধান্ত ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়েছেন এসব উপজেলা চেয়ারম্যান।
তবে ভিতরে ভিতরে দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ চালিযে যাচ্ছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল হাই, করিমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জনাব আলী, তাড়াইল উপজেলা চেয়ারম্যান ইসরাত উদ্দিন আহাম্মদ বাবুল, কটিয়াদী উপজেলা চেয়ারম্যান লায়ন আলী আকবর, নিকলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন, বাজিতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ নুরুন্নুবী বাদল, ইটনা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, বাজিতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ নুন্নবী বাদল, কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ভৈরব উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ বুলবুল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। নিকলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন জানান, তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দলীয় সমর্থন পেলেই কেবল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, নির্বাচন করার ইচ্ছা তার রয়েছে। দল মনোনয়ন দিলে তিনি পুরোপুরি মাঠে নেমে পড়বেন বলে জানান। অন্যদিকে ১৩টি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত আসনের নারী ভাইস চেয়ারম্যানরাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।