
এবার আর বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে থাকছে না অমর একুশে বই মেলা।বাংলা একাডেমীর বদলে এবার পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসছে বাংলার বই প্রেমীদের এ মহামিলন মেলা।
সোমবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমী ও প্রকাশনী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা একাডেমী সূত্র জানিয়েছে এবার সকল বেসরকারি প্রকাশনীর স্টল বসবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তবে বাংলা একাডেমী, শিশু একাডেমী, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় সংগ্রহশালা, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল একাডেমী চত্বরেই থাকবে।
সূত্রটি জানায় এবার অন্যান্য বছরের মতো রাস্তায় বা ফুটপাতে কোনো দোকান যেন বসতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে এবার উন্মুক্ত স্থানে মেলা হওয়া নিরাপত্তার বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বেশ গুরুত্বের সাথে নিয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।
প্রসঙ্গত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের পয়লা দিনে শুরু হয় বই মেলা। মেলায় অংশগ্রহণ করে শতশত প্রকাশনী সংস্থা।
বাংলা একাডেমী সূত্রে জানা যায়, এবার মেলার জন্য ২৪৫ টি প্রকাশনীকে ৪১৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানকে এক ইউনিটের স্টল, ৮৩ টিকে দুই ইউনিটের স্টল এবং ৪৮টি প্রকাশনীকে ৩ ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে একাডেমী।
এদিকে বাংলা একাডেমীর প্রত্যাশিত স্টলের মধ্যে এক ইউনিটের সরকারি স্টল ৮টি ও শিশুতোষ প্রকাশনা ৮টি, দুই ইউনিটের স্টলে সরকারি ৫টি ও শিশুতোষ প্রকাশনা ২টি এবং তিন ইউনিটের ২টি স্টল সরকারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গত বছর বই মেলাতে ২৪৬ টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪১৮টি ইউনিট বরাদ দেওয়া হয়। সরকারি ও অন্যান্য ২৮টি প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪২ টি ইউনিট।
এবার মেলাতে এক ইউনিটের জন্য টাকা জমা দিতে হচ্ছে ৭ হাজার ৩১৫ টাকা, দ্বৈত ইউনিটের জন্য দিতে হচ্ছে ১৬ হাজার ৭২০ টাকা ও তিন ইউনিটের জন্য প্রকাশকদের জমা দিতে ২৭ হাজার ১৭০ টাকা।