রাজশাহীতে পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির যুগ্মমহাসচিব ও মানগর ১৮ দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনু ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন এক মাসের আগাম জামিন পেয়েছেন।
সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মেয়রসহ মিনু ও মিলনকে আগাম জামিন প্রদান করেন। আদেশে মামলার সব আসামকে এক মাসের জামিন শেষে বিচারিক আদালতে আন্তসমার্পনের মাধ্যমে জামিনের আবেদন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বোয়ালিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর মহানগরীর লোকনাথ স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বোমা হামলায় নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ।
এ ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় ১৮ দলের চারশ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি হত্যামামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলার আসামি ছিলেন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। প্রায় ২৫ দিন আত্মগোপনে থাকার পরে সোমবার মেয়র বুলবুল উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে এক মাসের আগাম জামিন নেন। এ মামলার আসামি হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও রাজশাহী মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা এবং মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিনসহ স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে কর্মীরা ফেরার পথে মহানগরীর রাজাহাতা লোকনাথ স্কুল মোড়ে পুলিশের রিকুইজিশন করা একটি ট্রাকে ককটেল ছুড়ে দেয়। ককটেলটি ট্রাকের ভেতরে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ককটেল বিস্ফোরণের আঘাতে ট্রাকের ভেতরে থাকা সিদ্ধার্থসহ নয়জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত। তাৎক্ষণিক সিদ্ধার্থকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত কনস্টেবলের বাড়ি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সাবদি গ্রামে।