
দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল ব্যাংকিং। মাত্র এক বছরে বাংলাদেশে এ ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের ২৬২ শতাংশ সংখ্যা বেড়েছে। গ্রাহকের আগ্রহ বাড়ায় এ ব্যাংকিং সংশ্লিষ্ট ব্যবসার সুযোগও বেড়েছে। নতুন নতুন মানুষ বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট হচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, এক বছর ব্যবধানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট বেড়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৮৮ জন বা ২১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৩ সালের শুরুতে দেশে মোট মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট সংখ্যা ছিলো ৫৯ হাজার ৫৫৯ জন। বছর শেষে ১৯ টি ব্যাংকের মোট এজেন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ৬৪৭ জন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের সংখ্যা ছিলো ৫০ লাখ। নভেম্বরে এটা এক কোটি ছাড়িয়ে যায়। ডিসেম্বর শেষে এর সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজারে।
২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৯৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩৮২ টি লেনদেনের মাধ্যমে ২ হাজার ৩২০ কোটি ২ লাখ টাকার লেনদেন সম্পন্ন হয়। ডিসেম্বর শেষে ৬ হাজার ৬৪২ কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৯৫ টি লেনদেনের মাধ্যমে।
২০১২ সালের চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে ১৮৬ শতাংশ এবং গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৬২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন সহজ এবং সাধ্যের মধ্যে থাকায় এর গ্রাহক সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দেশের সব পেশা এবং ধরণের মানুষ এখানে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে একাউন্ট খুলছে। এর মাধ্যমে মানুষকে আর্থিকভাবে অন্তর্ভূক্তি করানো সহজ হচ্ছে বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেস বা মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয় ২০১০ সালে। এ পর্যন্ত ২৮টি ব্যাংককে এ সেবা প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এখন পর্যন্ত ১৯টি ব্যাংক এ সেবা চালু করতে সক্ষম হয়েছে।
সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।