নতুন কলিগদের কাছে আস্থাভাজন হওয়ার উপায়

  • sahin rahman
  • January 19, 2014
  • Comments Off on নতুন কলিগদের কাছে আস্থাভাজন হওয়ার উপায়

colleagues-at-workনতুন অফিস, নতুন পরিবেশ বরাবরই একটি চ্যালেঞ্জ। নতুন একটি পরিবেশে নতুন করে সব কিছু শুরু করা বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু কলিগদের সাথে নিজের বিশ্বস্ততা তো তৈরি করা চাই। কারণ কলিগদের দ্বারা সঠিকভাবে মুল্যায়িত না হলে আপনি ভুগতে পারেন হতাশায়, মনের ভেতর দানা বাঁধতে পারে অশান্তি। অনেকেই এই সময়ে কিছু ভুল করে থাকেন যেটা পরবর্তী চাকরি জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে নতুন হিসেবে আপনাকে সহকর্মীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে নিতে হবে। এজন্য জানতে হবে- কোন ধরনের আইডিয়াগুলো আপনার মনে রাখা দরকার।

এক.

সুন্দর একটি কাজের পরিবেশ তৈরিতে দরকার সুন্দর একটি সম্পর্ক। এটা তৈরি করতে প্রথমে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ- সেটা হচ্ছে নতুন কর্মক্ষেত্রে টিমের কাজগুলো অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোম্পানির স্বার্থে কোনো কাজে আপনার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। কঠিন কাজের ক্ষেত্রে অন্যান্য কলিগ বা সহকর্মী সাহায্য করুন। এতে সহকর্মীরা আপনার কাজে উৎসাহিত হবে। আর তাদের সাথে গড়ে উঠবে একটা অফিসিয়াল সম্পর্ক।

দুই.

নতুন অফিসে একটি ভালো পরিবেশ তৈরির জন্য কলিগ বা যারা কাজের সাথে জড়িত তাদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলুন। আপনার চিন্তা ভাবনা, মতামত কোনো প্রকার ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া সঠিক সময়ে উপস্থাপন করতে পারেন।

তিন.

যেহেতু পরিবারের লোকজনের চেয়ে অফিসেই বেশি সময় ব্যয় করা হয় সেহেতু কলিগদের কয়েক জনের সাথে একটু গাঢ় সম্পর্ক তৈরি করতে বারবার চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝে তাদেরকে একটু বেশি সময় দিন।

চার.

নতুন অবস্থায় অফিসে যে কোন ধরনের গল্প করা থেকে বিরত থাকুন। কখনও কলিগদের সাথে করিডোরের সামনে দাঁড়িয়ে হাসাহাসি করবেন না। কেউ যদি আপনাকে কোনো গোপন তথ্য জানায় তবে তা অন্যদেরকে জানাবেন না। কারণ এটা আপনার প্রতি তার বিশ্বস্ততা প্রশ্নের সম্মুখিন করতে পারে।

পাচঁ.

অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন না। অনেক জব এক্সপার্টের অভিমত এই যে নতুন চাকরির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ক্ষতিকর। অনেকেই নতুন চাকরিক্ষেত্রে গিয়ে কারো কাছে সাহায্য নিতে চান না এই ভেবে যে কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু ব্যাপারটি ঠিক তা নয়। আপনি যদি সাহায্য চান তাহলে আপনার একইসাথে দুটি কাজ হবে। প্রথমত, আপনি নিজেকে একজন নতুন মানুষ হিসেবে পরিচিতি দিতে পারবেন এবং দ্বিতীয়ত, আপনি কলিগদের সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপনের প্রথম ধাপ পার করতে পারবেন।

ছয়.

অফিসের কেউ যদি আপনার সাথে অতিরিক্ত বন্ধুত্ব গড়ার চেষ্টা করে তাদের থেকে একটু সতর্ক থাকুন। প্রত্যেকের সাথে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে আন্তরিক হোন।

সাত.

সত্য কথা বলতে পিছপা হবেন না। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যে সকল কাজের জন্য চাকরিতে যোগদান দেওয়া হয় তা ব্যতীত আরও অন্যান্য আরও কাজ করতে হয়। যদি আপনার কাজের চুক্তিতে তা লেখা না থাকে তবে আপনি এর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন। নতুন চাকরির জন্য অনেকে এই কাজটি করেন না। চিন্তা করে দেখুন যেহেতু আপনাকে চাকরিতে রাখা হয়েছে সেহেতু  আপনার কাজের প্রতি অবশ্যই আপনার বসের আগ্রহ আছে। আপনাকে আপনার অধিকার নিয়ে কথা বলা জানতে হবে। নতুবা আপনার নিশ্চুপ মনোভাবের জন্য পরবর্তীতে আপনাকে দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। সুত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

এস রহমান/ এআর

 

আপনার বসের