
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।রোববার বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থপাচার মামলায় গত ১৭ নভেম্বর নিম্ন আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। আর তারেকের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের জেল ও জরিমানা করেন আদালত। তবে নিম্ন আদালতের দেওয়া তারেকের খালাসের আদেশ বাতিল চেয়ে আপিল করে দুদক।
এরপর দুদকের ওই আপিল আমলে নিয়ে আজ রোববার তারেককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এর পর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটিব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এই মামলায় ২০১০ সালের ৬ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়। এক বছর পর ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তারেক ও তার বন্ধু মামুনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের আগস্ট মাসে এ মামলার বিচার শুরু হয়। চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর বাদী ও আসামিপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষের পর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় এবং ১৪ নভেম্বর তা শেষ হয়।
এরপর গত ১৭ নভেম্বর আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া হয়। তবে তার বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের জেল ও ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড হয়।