
তায়েফের বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় রয়েছে শত শত বানর। এরা একদিকে যেমন পর্যটকদের আকর্ষণের মধ্যমনি হয়ে উঠেছে তেমনি স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। গত কয়েক দিন ধরে স্থানীয়দের এমনই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বন্যপ্রাণী গবেষণা কেন্দ্রগুলো আল হাদা প্রদেশের নগর ও গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সাথে একাত্ম হয়ে বানর কমানোর উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। শনিবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তায়েফের গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. আহমাদ আল বউক জানিয়েছেন, তায়েফে এ বানর সমস্যা সমাধান করতে প্রথমে রিয়াদে কার্যক্রম চালানো হবে। নগর ও গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সাথে একাত্ম হয়ে একসাথে কাজ করলে এ সমাধান না হয়ে থাকবে না।
তিনি জানান, বানরেরা তাদের স্বভাবগত কারণে বা ক্ষুধার চাহিদা মেটাতে এ অঞ্চলের আবাসিক এলাকায় ও রাস্তায় চলে এসেছে। তবে তাদের সংখ্যা খুব বেশি হবে না। তাই খুব দ্রুতই তাদের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। তিনি জানান, ইতোমধ্যেই সমাধানের কার্যকলাপ হাতে নেওয়া হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একদিকে তারা অশুভ অন্যদিকে আর্কষণ। তাহলে তারা যাবে কোথায়? এর জন্য তো একটা সমাধানে আসার দরকার। পর্যটকরা এই সব বানরদের খাদ্য সুবিধা প্রদান করে রীতিমতো তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ আরও মনে করেন, আল হাদা, আল সাফা, আল রেডফ এবং অন্যান্য পর্যটন এলাকায় প্রধান আর্কষণ এই বানর।
আল বউক জানান, বানরদের কিভাবে বনে ফিরিয়ে নেওয়া যায় সে-ব্যাপারে চলছে গবেষণা। তাদের আচরণগত ও পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, আল রিবাহর বানরেরা বাস করে আল-হাদা প্রদেশে। ঠিক যেমনটা বাস করে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইয়ামেনে। তিনি আরও জানান, তায়েফের অধিকাংশ বানরেরা রাস্তায় চলে আসে। এছাড়া, কিছু কিছু শহরে এসে নগর ও আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়ে ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে।
তিনি আরও জানান, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে গবেষণা স্থানীয় গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এস রহমান/