
গত কয়েকদিনে ফরিদপুর অঞ্চলে বেড়ে গেছে শীতের প্রকোপ। সেই সাথে প্রচণ্ড ঘন কুয়াশা ও অতিরিক্ত বাতাসে বেড়েছে দুর্ভোগূর মাত্রা। আর এ কারণে নিউমনিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রচণ্ড শীতে মৃত্যু হয়েছে ১১ শিশুর। আর অসুস্থদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ফরিদপুর জেলা জুড়ে তীব্র শীতের সাথে গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশায় ও অতিরিক্ত বাতাসে রোগাক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আর তাই জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা।
ফরিদপুর জেলা সদরের শিশু হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে এ পর্যন্ত শীতজনিত রোগে অন্তত ১১টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শিশুদের রক্ষার্থে এ সময়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন বলে জোর দিচ্ছেন জেলার চিকিৎসকেরা।
মায়া বেগম নামের একজন অবিভাবক জানান, শীতের কারণেই আমার সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশু হাসপাতালে ভর্তি করি।
শিশু হাসপাতালের সেবিকা জানান, গত কয়েক দিনে ঠাণ্ডায় রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আমরা সাধ্যানুযায়ী সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আমিরুল ইসলাম জানান, অতিমাত্রায় শীতের কারণে নিউমোনিয়া ও ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রোগি অনেক বেড়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর এই রোগির সংখা দ্বিগুন ।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. খন্দকার আব্দুলাহ হিল সায়াদ জানান, শীতে আক্রান্তদের যথাযতভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। শিশুরা যাতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত না হয় সেজন্য আগে থেকেই শিশুদের উষ্ণ রাখতে আহ্বান জানান তিনি।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডা. সিরাজুল হক তালুকদার জানান, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সকল প্রকার ঔষধের পর্যাপ্ত সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। আমরা যেকো্নো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছি।