
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করবেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটা করা হয়নি। সরকারকে বলতে চাই, আপনারা কালক্ষেপন করবেন না। জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করুন। যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমাদের এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় রংপুর শহীদ মিনার মাঠে গণজাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশে তিনি একথা বলেন।
ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, জামায়াত শিবিরের লোকজনের সাথে কোন আত্মীয়তা করবেন না। বাড়িঘর ভাড়া দিবেন না। জামায়াত শিবির মৌলবাদী চক্রকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে আমরা রোড মার্চ শুরু করেছি। তারা বিতাড়িত না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা করে এমন কোনো শক্তি এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়িত করতে যে কাজ করা দরকার, আমরা তরুণ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে তা সম্পূর্ণ করবই।
এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গণজাগরণমঞ্চের অনুষ্ঠানে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, যারা ত্রিশ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে তারা মানুষ না, জল্লাদ। তাদের সাথে জাতীয় পার্টির কোনো সর্ম্পক নেই। আমরা সব সময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। কেউ হামলা সহিংসতা করে পার পাবে না।
রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণজাগরণ মঞ্চের নেতা মাহমুদুল হক মুনসী বাঁধন, মাহবুবার রহমান বাবলু, লাকী আখতার, মীর রেজাউল আলম, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মনজুর রহমান মিঠু, ছাত্র মৈত্রীর সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইউনুস আলী, রংপুর গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়রকারী রকিবুল হাসান রকিব, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ প্রমুখ।
এর আগে গণজাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়কারীর হাতে কাউনিয়ার টেপুমধূপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৬০টি হিন্দু পরিবারের জন্য ২০হাজার করে মোট ১২ লাখ টাকা তুলে দেন।
সাকি/এআর