কে হচ্ছেন জাবির নতুন উপাচার্য?

jabI-university

jabI-university_photoজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে পারবে এমন যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দানের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

উপাচার্য পদ থেকে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন আচার্য বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিলে নানা গুঞ্জন শুরু হয় সব মহলে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার মধ্যে একই আলোচনা কে হচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগরের পরবর্তী উপাচার্য?
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সভাপতি এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে আমরা উপাচার্য হিসেবে দেখতে চাই। যিনি চ্যান্সেলরের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল বায়েস বলেন, ‘মেধা-প্রজ্ঞা ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে সরকার দায়িত্ব দিবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কে কোথা থেকে আসল এটা দেখার বিষয় নয় রবং তিনি যোগ্যতাসম্পন্ন কি না এটাই বিবেচ্য বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে যিনি রক্ষা করবেন নিজের পরিবারের মতো।  আর এ ক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সঙ্কট মুহূর্তে একজন নির্দলীয় ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে সরকার নিয়োগ দিবেন এটাই প্রত্যাশা। যিনি সাময়িক দায়িত্ব নিয়ে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা করে স্থায়ী হবেন অথবা কাউকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান মনে করেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রজ্ঞাবান কোনো ব্যক্তিকে সরকার দায়িত্ব দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা। যিনি চ্যান্সেলরের নির্দেশ অনুযায়ী সিনেট পুনর্গঠন করে একজন নির্বাচিত ভিসির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
এদিকে পরবর্তী উপাচার্য হতে অনেক শিক্ষকই শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। বর্তমান প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক এমএ মতিন, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক আফসার আহমেদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম রয়েছেন ভিসি হওয়ার তালিকায়। এছাড়া পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল আলম ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আমির হোসেনেরও নাম শোনা যাচ্ছে।

এআর