কুবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ : পুলিশসহ আহত ১১

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয় বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ক্যাম্পাসের মুল ফটকে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

এ সময় বিপরীত দিক থেকে ছাত্রদলের একাংশের একটি মিছিল মূল ফটকের কাছাকাছি আসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ছাত্রদলের মিছিল থেকে ছাত্রলীগের মিছিল লক্ষ্য করে আকস্মিক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড শট গানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে ছাত্রদল কর্মীরা  পুলিশ এবং ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের জীবন নামে এক কর্মী পায়ে গুলিবিদ্ধ হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে পুনরায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছাত্রদল নিয়ন্ত্রিত দুটি মেসে ভাংচুর চালায় বলে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এ সময় কে বা কারা  ক্যাম্পাসে আগে থেকেই অবস্থানরত পুলিশের দুটি কাভার্ড ভ্যান ভাংচুর করে বলে পুলিশ জানায়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মাসুম বলেন “নবীনদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উস্কানিতে বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালায় ছাত্রদল। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ৩ কর্মী আহত হলেও আমরা ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ আইনুল হক বলেন, “এটি একটি অনাকাংখীত বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে ব্যাবস্থা নেব। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি এই ঘটনাটি বহিরাগতদের ইন্ধনে ঘটে থাকতে পারে।”

সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, “ছাত্রলীগ শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করা অবস্থায় ছাত্রদল নামধারী কিছু ছাত্র বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগ পাল্টা হামলার উদ্যোগ নিলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয় এবং কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে পুলিশের প্রায় ৫ সদস্য আহত হয়।”