
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া ৮টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনের পুনঃভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোট শেষে এসব আসনে আওয়ামী লীগ ৩, জাপা ১, স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ এবং তরিকত ফেডারেশন ১ আসনে বিজয়ী হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পযর্ন্ত এ ভোটগ্রহণ চলে।
এর আগে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সে সময় গোলযোগের কারণে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে পুন:ভোটগ্রহণ হয়। তবে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে পুনরায় ভোট হয় নি। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেনের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ৪ সপ্তাহের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
যেসব আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে সেগুলো হল- দিনাজপুর-৪, গাইবান্ধা-১, ৩ ও ৪, বগুড়া-৭, যশোর-৫ এবং লক্ষ্মীপুর-১ আসন।
লক্ষ্মীপুর-১: লক্ষ্মীপুর-১ আসনে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল। তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৬৫৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২১হাজার ৮৫৯টি। লক্ষীপুর-১ আসনে ৮১টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত হয়ে যায় ২১টি কেন্দ্র। স্থগিত কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৫০ হাজার ২৭৯টি।
গাইবান্ধা-১: গাইবান্ধা-১ আসনে ১০৯টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত হয়ে যায় ৫৪টি কেন্দ্র। স্থগিত কেন্দ্রে ভোটার ছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ২০৯টি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: মনজুরুল ইসলাম লিটন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১লাখ ১৮হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো: আব্দুল কাদের খান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৪টি ভোট।
গাইবান্ধা-৩: গাইবান্ধা-৩ আসনে ১৩০টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত হয়ে যায় ৮০টি কেন্দ্র। স্থগিত কেন্দ্রে ভোটার ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ৬২৭টি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: ইউনুস আলী সরকার নৌকা প্রতীক নিয়ে ১লাখ ২৭হাজার ৫৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২০৪ভোট।
গাইবান্ধা-৪: গাইবান্ধা-৪ আসনে ১৩০টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত হয়ে যায় ৭২টি কেন্দ্র। স্থগিত কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৭৭টি। স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ আনারস প্রতীক নিয়ে ৯৮ হাজার ৫৪৬ ভোটন পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: মনোয়ার হোসেন চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৬১৪ ভোট।
দিনাজপুর-৪: দিনাজপুর-৪ আসনের ১২০টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত হয় ৫৭টি কেন্দ্র। স্থগিত কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯১৯। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে ১লাখ ৪২ হাজার ৬৪১ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কাস পার্টির মো: এনামুল হক সরকার হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২হাজর ৭৯৭টি ভোট।
বগুড়া-৭: বগুড়া-৭ আসনে ১৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত হয়ে যায় ৪৬টি কেন্দ্র। স্থগিত কেন্দ্রে ভোটার ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৬৫টি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহম্মদ আলতাফ আলী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ১৭ হাজার ৮৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি-জেপির প্রার্থী এ,টি,এম আমিনুল ইসলাম বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ১০৪ ভোট পেয়েছেন।
যশোর-৫: যশোর-৫ আসনে ১২২টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত হয়ে যায় ৬০টি কেন্দ্র। স্থগিত কেন্দ্রে ভোটার ছিল ১ লাখ ৩৯হাজার ২৯৬টি। স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য কলস প্রতীক ৭৮হাজার ৪২৪ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান টিপু সুলতান নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৮হাজার ৪১৮ ভোট।
কবির