
মুহূর্তেই পৃথিবী ঘুরে আসার সুযোগ নিয়ে এসেছে নাইন ডি-অ্যানিমেশন। বাণিজ্য মেলায় ইকো-পার্কের পর দর্শনার্থী ও সিনেমাপ্রেমীদের জন্য এবার যুক্ত হলো নাইন ডি অ্যানিমেশন। তবে ইকো-পার্ক দর্শন সবার জন্য উন্মুক্ত হলেও নাইন ডি অ্যানিমেশন দেখতে প্রত্যেককে গুণতে হবে ২০০ টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৯ তম বাণিজ্য মেলায় ডি-বক্স টেকনোলজি’র উদ্যোগে প্রথমবারের মতো চালু হলো নাইন ডি অ্যানিমেশন ফিল্ম থিয়েটার হল।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই মিনি থিয়েটার হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে অ্যানিমেশন ফিল্ম দেখা যাবে। এই থিয়েটারের আর্কাইভে হলিউডের জনপ্রিয় ১ শরও বেশি অ্যানিমেশন ফিল্ম রয়েছে।
হেলে-দুলে পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র, আকাশ পাড়ি দিয়ে পাখির মতো চলে যাবেন অজানায়। সমুদ্র পাড়ি দিবেন, তবে ভেজার কোনো আশঙ্কা নেই। আগুনে লাফিয়ে পড়বেন, পুড়ে যাওয়ার ভয় নেই। পাহাড় থেকে পড়ে যাবেন, এতে হাত-পা ভাঙা তো দূরের কথা, কোনো ধরনের আঘাত পাবেন না। যন্ত্র ছাড়াই স্বল্প সময়ে বিভিন্ন গ্রহ থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। মুভির সাথে সাথে মনে হবে আকাশ থেকে ঝাঁপ দিচ্ছেন। সব কিছুই সম্ভব প্রযুক্তির নতুন ছোঁয়া নাইন ডির মাধ্যমে। মুহূর্তেই পৃথিবী ঘুরে আসার জন্য এটা একটা নতুন জানালা।
রাজধানীর মিরপুর থেকে মেলায় আশা শারমিন সুলতানা অর্থসূচককে বলেন, এটা আমার কাছে একেবারেই নতুন এবং অভিনব অভিজ্ঞতা। ছোট ছেলেকে নিয়ে অ্যানিমেশন দেখেছি।
প্রথম ভয় লাগলেও পরে খুবই ভালো লাগল। বার বার দেখতে ইচ্ছা করছে। তবে টিকেটের দাম বেশি হয়ে গেছে বলে বলেন তিনি।
উত্তরা থেকে বাবার সাথে মেলায় ঘুরতে আসা ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ফাহিম বলেন, “খুব মজা পাইছি। আম্মুর সাথে এসে আবার দেখব।”
এই মিনি থিয়েটার প্রসঙ্গে ডি-বক্স টেকনোলজির উদ্যোক্তা ও চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম সাজু অর্থসূচককে জানান, প্রায় বিশ বছর রাশিয়ায় থাকাকালীন দেখেছি সেখানকার প্রতিটি শপিংমলে এ ধরনের মিনি থিয়েটার আছে।
বাংলাদেশে টেকনোলজির প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়াতেই এ আয়োজন। পরিবারের সকলে মিলে অ্যানিমেশন মুভিগুলো উপভোগ করা যাবে বলে জানান তিনি।
প্রতিটি শো’তে ৬ জন করে ফিল্ম দেখতে পারবেন। যেকোনো বয়সের যে কেউ এ ফিল্ম দেখতে পারবেন। উপভোগ করতে প্রতিটি শোর জন্য গুণতে হবে ২০০ টাকা। মেলার প্রায় মাঝামাঝি স্থানে আখতার ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নের পাশেই এ ভ্রাম্যমাণ সিনেমা হলটি রয়েছে।
জেইউ/ এআর