
১১ জন মহিলা ও সাত জন শিশুসহ ২০১৩ সালে ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় ৬৮ জন খুনের ঘটনা ঘটেছে । এছাড়া ২০১২ সালে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ৬৬ জন খুনসহ মোট ৮৭১টি অপরাধের ঘটনা ঘটে।
২০১৩ সালে পুলিশের গুলিতে মহেশপুর উপজেলার পুর্বদাড়িয়াপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী ইন্তাদুল ইসলাম ইন্তাজ ও কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিনদিয়া গ্রামের শিবির কর্মী ইসরাইল হোসেন নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ছয় জন। এরা হলেন- ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, কালীগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রউফ, যুবলীগ নেতা মিঠুন, খায়রুল হোসেন মালিথা, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম ও ঝিনাইদহ আলীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক জামায়াত সমর্থক আব্দুস সালাম।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় চার জন মহিলা ও দুই জন শিশুসহ ২৭ জন, শৈলকুপা উপজেলায় একজন মহিলাসহ নয় জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় একজন শিশুসহ দশ জন, হরিনাকুন্ডু উপজেলায় তিন শিশু ও এক মহিলাসহ বারো জন, কোটচাঁদপুর উপজেলায় তিনজন মহিলাসহ পাঁচজন ও মহেশপুর উপজেলায় দুই মহিলা ও এক শিশুসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছে।
বিদায়ী বছরে ঝিনাইদহের আলোচিত হত্যাকাণ্ড ছিল হরিনাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুলিশ কনস্টেবল গাজী ওমর ফারুককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে এবং একই উপজেলার দখলপুর বাজারে হরিনাকুন্ডু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনকে বোমা মেরে হত্যা।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে ২০১৩ সালের ৩ মার্চ বেলা ১১টার দিকে জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল গাজী ওমর ফারুককে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন হরতালকারীদের হামলায় হরিণাকুন্ডু থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম, আনসার সদস্য আকবর আলী, করম আলী, পুলিশ কনস্টেবল মহিউদ্দীন, ফারুক হাসান ও বায়োজিদসহ দশ পুলিশ সদস্য আহত হন।
জেলায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, ঝিনাইদহে এখন আর চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের তেমন কোনো তৎপরতা নেই। এছাড়া রাজনৈতিক বিভেদ থাকলেও দলগুলোর মধ্যে হানাহানি নেই। সে জন্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কম।
তিনি আরও জানান, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া ২০১৩ সালে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার জন্য সমাজিক ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব দায়ী।