
অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি খুলনা জেলা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলনা মহানগর ও জেলার ৩৮৫টি দোকানের পুস্তক ব্যবসায়ীরা এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
জানা যায়, এর আগে বুধবার বিকেলে নিষিদ্ধ নোটবই বিক্রি করার অপরাধে দুই বিক্রেতাকে জেল এবং দুই বিক্রেতাকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।
সমিতির সাধারণ-সম্পাদক আব্দুল মজিদ তালুকদার বলেন, আমরা কোনো নোটবই বিক্রি করি না। সৃজনশীল অনুশীলনমূলক বই বিক্রি করি। সৃজনশীল অনুশীলনমূলক বইকে নোট বই আখ্যা দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুই বিক্রেতাকে জেল এবং দুই বিক্রেতাকে জরিমানা করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং খুলনা সিটি মেয়র, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও চেম্বার সভাপতির সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় করবেন সমিতির নেতারা।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.আতিকুল ইসলাম নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বইয়ের দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় ১৯৮০ সালের নোটবই নিষিদ্ধ আইনের ৩ ধারার অপরাধে পাঠক প্রিয় লাইব্রেরীর মালিক মো. মোখলেসুর রহমানকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং বুক সেন্টারের মালিক মো. ইয়াসিনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে, একই সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজী আক্তার অভিযান চালান। অনুরূপ অপরাধে খুলনা বুক ডিপোর কর্মচারী মিলন মাহমুদ এবং বুক সোসাইটির মালিক আব্দুল মজিদ তালুকদারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা কেডিঘোষ রোডস্থ সমিতির কার্যালয়ে বৈঠক করে খুলনা মহানগরসহ জেলার ৯টি উপজেলার ৩৮৫টি দোকানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়। যার ফলে বছরের শুরুতে এই ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
কেএফ