
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ভূয়া দাতা, ভুয়া দলিল লেখক ও ভুয়া স্বাক্ষী দিয়ে ৩ কোটি ২৭ লাখ ১৮ হাজার টাকার একটি দলিল সম্পন্ন করা হয়েছে। আর বিষয়টি জানাজানি হলে দলিল লেখক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় এবং ঘটনা ফাঁস হওয়ার পরপরই গ্রহীতা শামচুল হক হাওলাদার বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার ৮৭ নং চরঝাউতলা ও ৮৬ নং ঝাউতলা মৌজায় ঝাউতলা গ্রামের কলম আলি হাওলাদারের নাম ব্যবহার করে তার ছেলে শামচুল হক হাওলাদার ৩ কোটি ২৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ৩ একর জমি দলিল (দলিল নং-৭২৪৬/১৩) করে। গত ৩১ ডিসেম্বর দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয় এবং দলিলে দাতা, দলিল লেখক ও স্বাক্ষী হিসেবে যাদের নাম ব্যবহার করা হয় তারা সেদিন উপস্থিত থাকা তো দূরের কথা এমন কি জানেও না বলে ভূক্তভোগীদের দাবি।
দলিলে দাতা হিসেবে নাম ব্যবহৃত দাতা কলম আলী হাওলাদার, দলিল লেখক মোঃ মোকতার হোসেন, পরিচিত আলম সরদার, স্বাক্ষী আবু সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নাম ব্যবহার করা হলেও বিষয়টি আমরা জানতামও না। পরে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে আমরা শুনে অবাক হই। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করি।
উপজেলা স্বাব-রেজিষ্টার বাদল কৃষ্ণ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দলিলটি মূলত দলিল লেখক তৈয়বুর রহমান সরদার লিখেছে কিন্তু অন্য দলিল লেখক মোঃ মোকতার হোসেনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে দলিলে মূল দাতা গ্রহীতার ছবি না দিয়ে অন্য মানুষের ছবি দেওয়ায় আমরা উক্ত প্রতারণা বুঝতে পারি নি।
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, ভুয়া দলিল লেখার অভিযোগে এর আগেও দলিল লেখক তৈয়বুর রহমান সরদারের লাইসেন্স বালিত করা হয়েছিল এখন আবার সেই একই ঘটনা ঘটিয়েছে।