
ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে একটি মহল প্রতিষ্ঠানের নাম জালিয়াতি করে অপর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রী কলেজটিকেই জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
১৯৯২ সালে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রামে চার একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠে আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ। জাতীয়করণের সকল উপাদান বিদ্যামান থাকায় ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক পত্রে আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজটিকে জাতীয়করণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে প্রতিষ্ঠানের নাম জালিয়াতি করে এবং ওই একই স্মারক (নং- ০৩,০৭৪.০২৭.৩৭.০০.০০৩.২০১২(অংশ-১)-৪) ব্যবহার করে একটি মহল আদর্শ শব্দটি বাদ দিয়ে অপর একটি কলেজকে জাতীয়করণের চেষ্টা চালায়। এ অবস্থায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃপক্ষ নাম জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করে একই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজটিকেই জাতীয়করণ করার পুনর্নির্দেশ দেয়।
এদিকে, দু’দফায় দেওয়া নির্দেশনা উপেক্ষা করে একই বছরের ৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অপর পরিচালক আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের স্মারক ব্যবহার করে আদর্শ শব্দটি বাদ দেওয়া (আলফাডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয়করণের নির্দেশনা দেয়। এতে হতাশায় নিমজ্জিত হয় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকসহ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের মতে, কলেজটি জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে। নতুন নতুন বিষয় যোগ হবার কারণে উপকৃত হবে গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা।
অধ্যক্ষ মোঃ মোরশেদুর রহমান বলেন, আমাদের কলেজটিকে দেওয়া নির্দেশনার স্মারক ব্যবহার করে অপর একটি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের অপচেষ্টা চালায়। সৃষ্ট এই সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা।
উল্লেখ্য-গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও ফরিদপুর জেলার সম্মিলনস্থলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠায় গ্রামে বসবাসকারী ওই সব এলাকার শত শত ছেলেমেয়েরা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি থেকে সহজেই শিক্ষালাভ করতে পারে। তাই গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা ও নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে এ কলেজটিকে জাতীয়করণ করার দাবী জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরাসহ সংশ্লিষ্টরা।
কেএফ