
রপ্তানির পণ্যভর্তি কন্টেইনার জাহাজে তোলার শর্ত শিথিল করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। এখন জেটিতে জাহাজ ভেড়ানোর পরদিনও কনটেইনার বন্দরে পৌঁছানো গেলে তা ওই জাহাজে তুলে বিদেশে পাঠানো যাবে। আগের শর্ত অনুসারে, জাহাজ ভেড়ার দিন পর্যন্ত যে সব কন্টেইনার বন্দরে পৌঁছাতো সেগুলোই কেবল ওই জাহাজে তোলা যেত।
গত বুধবার থেকে নতুন সুযোগ কার্যকর হয়েছে। শর্ত শিথিলের ফলে পণ্য জাহাজীকরণে ২৪ ঘণ্টা বাড়তি সময় পাচ্ছেন রপ্তানিকারকরা।
বন্দরের পরিচালক গোলাম ছরওয়ার অর্থসূচককে বলেন, রপ্তানি খাতে সুবিধা দিতে জন্য আগামী তিন মাসের জন্য এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচির কারণে সময়মত বন্দরে কন্টেনার পৌঁছানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত বুধবার থেকে সময়সীমা শিথিলের সুযোগ কার্যকর হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে,নির্দিষ্ট জাহাজে রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার তোলার জন্য পোশাক শিল্পের মালিকরা কারখানা থেকে কাভার্ড ভ্যানে করে বেসরকারি ডিপোতে পণ্য পাঠান। একইভাবে কমলাপুর ডিপোতেও পণ্য পাঠানো হয়। এসব ডিপোতে রপ্তানি পণ্য কন্টেনারে বোঝাই করে বন্দরে পাঠানো হয়।এরপর জাহাজে তুলে রপ্তানি করা হয়।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হরতল-অবরোধে নির্দিষ্ট সময়ে জাহাজীকরণ করা সম্ভব হয়নি পোশাক শিল্পের অনেক পণ্য।
ব্যবসায়ীরা জানান,নির্দিষ্ট জাহাজে কন্টেইনার পণ্য তুলে দিতে না পারলে অনেক সময় এক দুই সপ্তাহ পিছিয়ে পড়তে হয়।কারণ বন্দর থেকে ছোট আকারের বা ফিডার জাহাজে পণ্য বোঝাই করে সিঙ্গাপুর,মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকার বন্দরে পাঠানো হয়।সেখান থেকে বড় আকারের জাহাজে করে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের নানা দেশের ক্রেতাদের হাতে পৌঁছানো হয় রপ্তানি পণ্য। চট্টগ্রাম বন্দরে একদিন দেরি হলে অনেক সময় সিঙ্গাপুর,মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকার বন্দরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজে তুলে দেওয়া সম্ভব হয় না।
প্রসঙ্গত,সমুদ্রপথে রপ্তানি হওয়া পোশাক শিল্পের সব পণ্যই পরিবহন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।