‘যতো কঠোর হওয়া দরকার ততো কঠোর হবো’

hasina

hasina...বিএনপি চেয়ারপারসন ও দলটির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আর কোনো সহিংস কর্মকান্ড ও কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ধরনের কোনো সহিংস ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে সরকার তা কঠোর হাতে দমন করবে। এ জন্য হরতাল-অবরোধকারী, সংখ্যা লঘুদের ওপর হামলাকারীদের দমনে যতো কঠোর হওয়া দরকার ততো কঠোর হবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক  জনসভায় ভাষণ দান কালে তিনি এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

আজ ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ জনসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

এ সময় শেখ হাসিনা নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা আন্দোলন করে নির্বাচন বন্ধ করতে পারেননি। আন্দোলনের নামে দেশের জনগনকে আর কষ্ট দেবেন না।

প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্য বলেন, আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়েছেন,জানমালের ক্ষতি করেছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়েছেন। বিএনপি হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়েছে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য। মানুষকে হত্যা  , ঘর বাড়ি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য জনগণের কাছে বিরোধী দলীয় নেতাকে  জবাবদিহি করতে হবে বলেও মনে করেন শেখ হাসিনা।

তিনি এ সময় জনগনের কাছে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য জনগণের কাছে সহায়তা কামনা করেন।

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে না এসে আপনি যে ভুল করেছেন তার খেসারত আপনাকেই দিতে হবে। কিন্তু যে অন্তর্জ্বালা আপনার মনে সৃষ্টি হয়েছে তা দিয়ে আপনি দেশের নিরীহ জনগণকে পুড়িয়ে মারবেন না।

আলোচনার মাধ্যমে আপনি সমাধানে আসেন। লাদেনের মত ভিডিও বার্তা আর ঘরে বসে কর্মসূচি দিয়ে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করবেন না।

তিনি বলেন, কেন আপনি নিরীহ মানুষের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছেন জনগণের কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে। জনগণের ম্যাণ্ডেট নিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি।

আগামি ১২ তারিখ সরকার গঠন করে আমরা শপথ নেব। বাংলাদেশ এখন আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। আরও এগিয়ে যাবে। দুই একটা রাজাকার সাথে নিয়ে এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করা যাবে না।

জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যেভাবে সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে সুসংহত করার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে তেমনিভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখামাত্রই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন।

এসএসআর