স্বল্প সুদে গৃহঋণের দাবি রিহ্যাবের,অর্থমন্ত্রীর না

Appartmentআবাসন শিল্প রক্ষায় স্বল্প সুদে গৃহ ঋণের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছে এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিহ্যাব। যাতে এ তহবিল থেকে প্লট ও ফ্ল্যাটের ক্রেতাদেরকে ৯ শতাংশ বা তার কম সুদে (সিঙ্গেল ডিজিট) ঋণ দেওয়া যায়।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাত করে রিহ্যাব নেতারা এ দাবি জানান। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রিহ্যাব সভাপতি নসরুল হামিদ। প্রতিনিধি দল আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের বর্তমান ব্যাংক ঋণ কোনো ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই পুন:তফসিলের সুযোগ,সঙ্গে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডের দাবি করেন তারা।
অর্থমন্ত্রী বিশেষ তহবিলের প্রস্তাবে সায় দেন নি। তিনি একে খামোখা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আর পুন:তফসিলের বিষয়ে রিহ্যাব নেতাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় আবাসন শিল্পে ধস নেমেছে বলে উল্লেখ করেন রিহ্যাব নেতারা। তারা জানান, বর্তমানে ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের ২২ হাজার ৫৭২টি অবিক্রিত ফ্ল্যাট এবং ৭৭৩ কোটি টাকা মূল্যের সাত হাজার ১৪টি অ-হস্তান্তরিত ফ্ল্যাট রয়েছে।বিপরীতে ব্যাংকগুলোতে আবাসন ব্যবসায়ীদের অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, হরতাল অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করছে। তাই হরতাল বন্ধে তিনি নতুন সংসদে প্রস্তাব তুলবেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন,‘যেই করুক হরতাল সহিংস হয়।এটা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।হরতাল বন্ধে আমি আগামী সংসদে প্রস্তাব দিতে রাজি আছি।’
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রিহ্যাব সভাপতি নসরুল হামিদ।
জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করা উচিত বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘জামায়াত একটি সন্ত্রাসী দল। এর প্রমাণ হচ্ছে, সিলেটে দুইজন জামায়াত নেতা ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে।’
বিরোধীদলের ডাকা চলমান অবরোধ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, অবরোধ মারাত্মক ক্ষতিকর। দূর্ভাগ্য যে, অর্থনীতির এই বিপর্যস্ত অবস্থা আমরা নিজেরাই তৈরি করে রেখেছি। খালেদা জিয়া তো মানবেনই না। কিন্তু তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা তো আছেন। ব্যবসায়ীরাও আছেন। তাঁরা তো নির্বোধ নন।তাঁদের নিজেদের স্বার্থ বোঝা উচিত।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করাই নতুন সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।