চলতি অর্থ বছরে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশের ২য় বৃহত্তম দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে সরকার ৯০কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। দফায় দফায় হরতাল, অবরোধের মাঝেও বন্দরটি থেকে সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ হিলি কাষ্টমস সূত্রে জানায়, ২০১৩-১৪ অর্থ বছর শুরুর মাস জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, উক্ত মাসে আয় হয় ১২ কোটি ২ লক্ষ। ২য় মাস আগষ্টে ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয় ২২ কোটি ৯৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫৬০ টাকা। ৩য় মাস সেপ্টেম্বরে ১৫ কোটি ৫০ লক্ষ্য টাকার বিপরীতে আয় দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৩২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫১৯ টাকা, অক্টোবর ১৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আয় দাঁড়ায় ২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। নভেম্বর মাসে ১৮ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা বিপরীতে আয় ১৮ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং গত ডিসেম্বর মাসে ১৯ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা বিপরীতে আয় ১৫ কোটি ৪৯ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে গত ৬ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক বন্দরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন ৯৮ কোটি টাকা। বিপরীতে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ দাঁড়াল ৮৯ কোটি ৭৭ লক্ষ ২২ হাজার ৭৯ টাকা। চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ কোটি ২২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯শত ২১ টাকা। আমদানীকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ, মাছ, আপেল, কমলা, আঙ্গুর, টমেটো সহ বিভিন্ন কাঁচাপণ্য। উল্লেখ্য ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২৩৮ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাহিলি কাষ্টমস্ সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, লাগাতার হরতাল ও অবরোধে আমদানিকৃত পণ্যবাহি ট্রাক বন্দরে কম ঢুকছে। এ সবের মাঝেও বন্দরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ভাল। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
হিলি কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার মাজেদুল হক অর্থসূচককে জানান, গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে এ বন্দর থেকে সরকার ৫৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বিপরীতে ২শত ২৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪গুণ বেশী। এ বন্দরে আমদানী-রপ্তানীর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের জন্য পরিবেশ খুব অনুকূল। চলতি অর্থ বছরে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে বন্দরে ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা ও হিলি কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে ভবিষ্যতে সরকার এ বন্দর থেকে আরো বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবেন বলে তিনি মনে করেন।
ইআর/