
বিএনপি জামায়াতের হামলার ভয়ে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাঁচটি গ্রামের মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। রোববার জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বাঘা উপজেলার তুলশিপুর কেন্দ্রে বিএনপি-জামায়াতের ব্যাপক নাশকতার পর আবার সংঘর্ষের আশঙ্কায় রয়েছে কেন্দ্রটির আশেপাশের পাঁচ গ্রামের মানুষ। ইতোমধ্যে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
জানা গেছে, রোববার তুলশিপুর ভোটকেন্দ্রে নাশকতার চেষ্টা চালায় জামায়াত বিএনপির রিফিউজি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিতি গঙ্গারামপুর, টলটলিপাড়া ও হাবাসপুর এলাকার কয়েক’শ ক্যাডার। এ সময় তুলশিপুর উত্তরপাড়ার এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসলে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত হয় আ.লীগের অন্তত ২০ জন কর্মী। এদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে নির্বাচনের আক্রোশে প্রতিহিংসায় মেতে উঠে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ৪২৩টি আম গাছ কেটে ফেলে তারা। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সাধারণ মানুষদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়।
এদিকে, সোমবার ওইসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ও পুঠিয়া সার্কেল (এএসপি) আবু সায়েম।
তুলশিপুর স্থানীয় ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি কাওছার আলী ও যুবলীগ কর্মী শরিফ জানান, ঘটনাটি নির্বাচন কেন্দ্রিক হলেও বর্তমানে এটি রিফিউজি এবং স্থানীয় বসতিদের মধ্যেকার বিরোধে পরিণত হয়েছে।
উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আকবর আলী জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত না। যারা গাছ কেটেছে তারা অন্যায় করেছে এ অন্যায়ের দায়ভার অপরাধীদের নিতে হবে।
এদিকে, এ সকল ঘটনার সঙ্গে জড়িত গ্রামের মানুষ ফের সহিংসতার শঙ্কায় বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘাতে বিপুল পরিমাণ আমগাছ কেটে বড় ধরণের ক্ষতি করা হয়েছে। পুলিশ এ অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইআর