মহাসুখ মন্দিরই “স্বর্ণমন্দির”

shorno-1মহাসুখ মন্দির। সোনালি রঙের জন্য “স্বর্ণমন্দির” নামে খ্যাত। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানে এটির অবস্থান । মহাসুখ মন্দির বান্দরবান জেলা শহর থেকে তিন কি:মি: পশ্চিমে বালাঘাটা এলাকার নাতিউচ্চ পাহাড় চূঁড়ায় স্থাপিত। মায়ানমার থেকে শিল্পী এনে এটি তৈরি করা হয়। ২০০৪ সালে এর কাজ সম্পন্ন করা হয়। মন্দিরের বাইরের অংশে ভিন্ন ভিন্ন প্রকোষ্টে তিব্বত, চীন, নেপাল, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভূটান, মায়ানমার, কোরিয়া এবং জাপান ইত্যাদি দেশের শৈলীতে সৃষ্ট ১২টি দন্ডায়মান বুদ্ধ আবক্ষ মূর্তি এখানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আর মন্দিরের অভ্যন্তরে কাঠের উপর অসাধারণ সুন্দর রিলিফ ভাষ্কর্য কর্ম মায়ানমারের কাঠের শিল্প-কর্মের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করায়। মন্দির চত্ত্বরের স্তম্ভ ও পাখি আপনাকে আকাশে ডাকবে। মন্দির থেকে দেখবেন পূর্বদিকে বান্দরবান শহর ও চারপাশে শুধু পাহাড় আর পাহাড়।

 

বান্দরবানে ঘুড়তে গিয়ে কেউ স্বর্ণমন্দির ঘুড়বে না তা কি করে হয়।বান্দরবানে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে স্বর্ণমন্দির একটি।বর্তমানে স্বর্ণমন্দির উপাসনালয়টি বান্দরবান জেলার একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসাবে পরিণত হয়েছে।“বৌদ্ধ ধাতু জাদী” এই মন্দিরের নামকরণ করা হয় স্বর্ণমন্দির।প্রতি পূর্ণিমার রাতে অপরূপ আলোয় এখানে জ্বলে ওঠে হাজার মাটির প্রদীপ। ১৯৯৪ সালে শুরু হয় এর নির্মাণ কাজ। ১৮০ টি সিড়ি বেয়ে উটতে হয় এই মন্দিরে।SMB

 

কি ভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে আপনি ২/৩ টি রুট ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানঃ বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী এবং পূর্বাণী নামক দুটি ডাইরেক্ট নন এসি বাস আছে৩০ মিঃ পর পর বান্দরবানের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। তারপর বাজার থেকে ইজি বাইকে করে যাওয়া যায় ।