
নির্বাচনের সময়টা একটা আনন্দ-উৎসবের সময় হলেও এবারের নির্বাচন ছিল হরতাল, অবরোধ ও আতঙ্কে ভরপুর। শক্তিশালী দু’দলের কাঁদা ছোড়াছুড়ির কারণে দেশের জনগণ উদ্বেগ উৎন্ঠায় দিনাতিপাত করছে। যার কারণে পাইকারি বাজারগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজিবাহী তেমন কোনো বাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারে নি। আর এতে করে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ির পাইকারি বাজার ছিল শুধু আরতদার ও পাইকারদের বেকার বসে থাকার দিন।
সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ির পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজার একেবারে ফাঁকা। যে বাজার সবসময় ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে সরগরম থাকতো সেখানে নেই কোনো ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম।
নির্বাচনকালীন সহিংসতায় গতকাল ২০ এবং নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৫ জন লোকের প্রাণহানি এবং শতাধিক মানুষ আহতের ঘটনা দেশের জন্য খুব একটা ভাল ফলাফল বয়ে আনবে না। নির্বাচন পরবর্তী সময়ের এ সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ব্যবসার অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়বে।
শেরপুর থেকে আসা আবদুল লতিফ জানান, আজ বাজারে দুই-তিন গাড়ি সবজি এসেছে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তিনি আরও বলেন, বাজারে মাল কম আসায় সবজির দাম একটু বেশি। হরতাল অবরোধের জন্য ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ।
ব্যবসায়ী মো. সানি বলেন, ইলিকশনের কারণে গতকাল কোনো মালামাল আসে নাই তাই বাজার ফাকা। বেচা-কেনা নাই। তিনি আরও জানান, দেশের এই অবস্থা চলতে থাকলে আমরা ব্যবসায়ীরা না খেয়ে মরে যাব। ছেলে-পেলে মানুষ করতে পারবো না। এই অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।
যাত্রাবাড়ি বাজার পরিচালক তাজ মোহাম্মাদ বলেন, দেশের এই পরিস্থিতি আমাদের ব্যবসার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। আমরা ব্যবসায়ী সমাজ সরকার-বিরোধী সবদলের কাছে বলতে চাই দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে আপনারা কোথায় রাজনীতি করবেন।
এসএস