
জামায়াতকে বাদ দিয়ে নির্বাচনী সমঝোতায় আসার জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আ.লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার গণভবনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করায় দেশ অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ নির্বাচন গণতন্ত্রের পক্ষের রায়।
নির্বাচন কাজে সার্বিক সহযোগিতা করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম কর্মীদের অভিনন্দন জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, সহিংসতা বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ সংলাপে আসুন। জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে আলোচনায় আসুন।
তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে এলে ইতিবাচক হতো। ভোট দিয়ে জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে।
আপনারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করবেন কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা রয়েছে। আদালত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। এ ব্যাপারে আমরা এখন কিছু বলবো না।’
ভোট খুব কম কাস্ট হয়েছে, এ ব্যাপারে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও নির্বাচনে জনগণ যতটুকু ভোট দিয়েছে ততটুকুই যথেষ্ট।
নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। কেবল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরাই এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।,
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এজন্য সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও কঠোর অবস্থানে যাবে।
ক্ষমতায় এসে আপনার মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে অনেকেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন, তাহলে কি তারা দুর্নীতিবাজ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের আয় বেড়েছে। সেই হিসেবে তাদেরও আয় বেড়েছে। তবে অস্বাভাবিকভাবে যদি কেউ অর্থের মালিক হয়ে থাকেন তা হলে দুদক ব্যবস্থা নেবে। আমি সেখানে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবো না।