
পুজিঁবাজারে নতুন অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি এমারেল্ড অয়েলের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ আজ থেকে শুরু হচ্ছে। দেশের আবেদনকারীদের জন্য চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর প্রবাসী বাংলাদেশীরা ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে ২০১১ সালের জুলাইয়ে। সম্প্রতি কোম্পানিকে পুজিঁবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। সংগৃহীত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি মেয়াদি ঋণ পরিশোধ, চলতি মূলধন এবং আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করবে। ২০১৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় ২ টাকা ৮৫ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৪ টাকা ৬ পয়সা।
প্রসঙ্গত, পজিঁবাবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি বিএসইসিতে আবেদন জানায় কোম্পানিটি। আবেদনের ১০ মাসের মধ্যে আইপিওর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কোম্পানিটি স্পন্দন ব্র্যান্ড নামে ভোজ্যতেল উত্পাদন ও বিপণন করে। তবে এর চাহিদা কম থাকায় উত্পাদিত পণ্যের অধিকাংশই এসিআই লিমিটেডের কাছে সরবরাহ করা হয়, যা এসিআই নিজস্ব ব্র্যান্ডের নামে বাজারজাত করে। ফলে এক ধরনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়া প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ পরিচালন প্রবাহ ঋণাত্মক থাকায় বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে।
ধানের তুষ থেকে ভোজ্যতেল উত্পাদনের লক্ষ্যে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যিক উত্পাদনে আসে ২০১১ সালের ২ জুলাই। এ সময় কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৫০ লাখ টাকা ও নেট লোকসান ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০১২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি এর পরিশোধিত মূলধন ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির ব্যাংকঋণের পরিমাণ ৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫৭ কোটি টাকা রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ।
এমআরবি/