ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, বাক্স ভাংচূর ও ২ প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে আজ সকাল থেকে ভোট গ্রহণ চলছে। রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের কোনো দীর্ঘ লাইন না থাকলেও এই পর্যন্ত ২৫/৩০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে বলে প্রিজাইডিং অফিসাররা জানিয়েছে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ১২/১৩ বছরের ছোট শিশু কিশোররাও একাধিকবার ভোট দিতে এবং প্রতিটি কেন্দ্রই প্রশাসনের চেয়ে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদেরকে ঘিরে রাখতে দেখা গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের জাতীয় পার্টি জেপির প্রার্থী ডাঃ মোঃ ফরিদ আহম্মদ জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের ভোট নিজে দিতে না পেরে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে সকাল ১১টায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। দুপুর ২টায় নবীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী কাজী মামুনুর রশিদ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের নবীনগর উপজেলার বারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নোয়াগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ভাংচূর ও পানিতে ফেলে দেওয়ায় কেন্দ্র ২টির নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে নাসিরনগর উপজেলার ফুলকার কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৮ দলীয় নেতাকর্মীরা হামলার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে এতে ১০ জন আহত হয়।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের বিজয়নগর উপজেলার ফতেহপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনৈতিক কাজ করতে না দেওয়ায় প্রিজাইডিং অফিসার সেলিম মিয়াকে লাঞ্চিত করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক। এছাড়া, জেলা শহরসহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের সামনে সকাল থেকে থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।