
টানা অবরোধের চতুর্থ এবং নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আঠারো দলের হরতালের প্রথম দিনেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রংপুর। শুক্রবার মধ্যরাতে রংপুর মহানগরী ও পীরগঞ্জের ছয়টি ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করে আঠারো দল নেতাকর্মীরা। এছাড়াও শনিবার সকালে নগরীতে ছাত্রশিবির ককটেল ফাটিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে। মিঠাপুকুরেও রাতে ৩০ টির মতো ককটেল বিষ্ফোরিত হয়।
অবরোধের সাথে রংপুরে শনিবার ভোর ছয়টা থেকে যোগ হয়েছে আঠারোদল ঘোষিত ৪৮ ঘন্টা এবং স্থানীয় আঠারো দলের ৩৬ ঘন্টার হরতাল। টানা হরতাল অবরোধের কারণে দুরপাল্লা, আন্ত:জেলা ও উপজেলা রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। সীমিত পরিমানে কিছু রিকশা অটো রিকশা চলতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন প্রতিহত করতে শুক্রবার ভোর রাতে আঠারো দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা রংপুর মহানগরীর মুলাটোল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাহিগঞ্জ মহিন্দ্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্টেশন পীরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীরগঞ্জের ভেন্ডাবাড়ি ভীম শহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় আলমপুর ইউনিয়নের পতিচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা পুরে গেছে ।
এদিকে যে কোন ধরনের নাশকতা এড়াতে নগরীসহ আশেপাশের প্রতিটি উপজেলায় বিপুল পরিমান বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আছে সেনাবাহিনীর টহল।
বিরোধী দলের অবরোধ হরতাল আর নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা আর অন্যদিকে সরকারের নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহনের কারণে উভয়পক্ষই যখন মারমুখি অবস্থানে তখন যে কোন ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে বাসা বাড়িতেই অবস্থান করছেন সাধারণ মানুষ। তারা বাইরেও কম বের হচ্ছেন। ফলে সকাল থেকেই নগরীতে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে।
পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভোটকেন্দ্রসহ নগরী এবং আশেপাশের সকল উপজেলায় আইন শৃংখলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। কেউ নাশকতা করতে চাইলে তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।